পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য তাহার শীর্ষদেশে তঁহার প্রকাণ্ড ‘মনোগ্ৰাম’। এই সকল পত্ৰ ভাজ করিয়া লেফাপায় দেওয়া হয় না। যত বড় কাগজ, লেপাফ খানিও তত বড় ! এই বিরাট লেফাপার এক কোণে লেখা থাকে। “অত্যন্ত জরুরী সংবাদ ।” কৈসারের রাজসভায় অনেক আড়ম্বরপ্রিয় অপদার্থ লোকেরও স্থান আছে। তাহারা তঁহার প্রসাদভিক্ষু ; অনেকেই চাকরী ও উপাধীর উমেদার। কৈসার সময়ে সময়ে তাহদের সঙ্গে যেরূপ রসিকতা করেন, তাহাতে তাহদেরও পিত্ত জ্বলিয়া যায় ; কিন্তু অপদাৰ্থ চাটুকারের অবস্থা সৰ্ব্বত্রই সমান। কৈসার কোন কোন দিন মধ্যরাত্রে এক একখানি পোষ্টকার্ড লিখিয়া তাহা তাহার সেই বিশালাকার লেফাপায় পুরিয়া পুৰ্ব্বোক্ত উমেদারদের নিকট পাঠাইয়া দেন। সে বেচারারা হয় তি তখন স্ব-স্ব গৃহে গাঢ় নিদ্রায় নিমগ্ন। কৈসারের আরাদালী তাহদের দরজায় গিয়া মহা সোরগোল আরম্ভ করিতে থাকে ; অগত্য নিদ্রাতুর উমেদার শয্যাত্যাগ করিয়া সেই পত্ৰ গ্ৰহণ করিতে বাধ্য হয়। কেহ কেহ মনে করে, এত রাত্রে যখন এমন জরুরী পত্র, তখন নিশ্চয়ই পত্রে কোনও খোসা খবর আছে; হয় তা এবার তাহার অদৃষ্ট প্ৰসন্ন ! কিন্তু পত্র খুলিয়াই সে দেখিতে পায়-সম্রাট তাহাকে কোনও তুচ্ছ কারণে পত্রে তীব্র তিরস্কার করিয়াছেন! বুলগেরিয়ার রাজা ফার্দিনান্দের সহিত কৈসার একবার খুব রসিকতা করিয়াছিলেন ; সে রসিকতার জের এত দিনেও মিটয়াছে কি না। সন্দেহ। অনেক দিন পূর্বে রাজা ফার্দিনান্দ জৰ্ম্মানীতে আসিয়া কৈসারের অতিথি হইয়াছিলেন। ফার্দিনান্দ বিলক্ষণ স্থূলকায়, বৃষস্কন্ধ জোয়ান পুরুষ। এক দিন রাত্রিকালে কৈসারের ব্ৰনজউইক “কাসলে’ নৈশভোজনের পর, রাজা ফার্দিনান্দ একটি বাতায়নের সম্মুখে দাড়াইয়া