পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wがど。 কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য লডউইগ গ্যাঙ হাফার ব্যাভেরিয়ার একজন প্ৰধান উপন্যাস-লেখক ; কৈসার উইলহেম বৰ্তাহার রচনার বড়ই পক্ষপাতী। এক দিন কৈসার বাণীর এই একনিষ্ঠ সেবককে নিমন্ত্রণ করিয়া, স্ব-রচিত একটি কবিতা র্তাহাকে দেখিতে দিয়া তৎসম্বন্ধে তাহার মত জানিতে চাহেন। কবিতাটি নিতান্ত সাধারণ ধরণের কবিতা ; জৰ্ম্মান সম্রাটের লেখনীপ্ৰসুত-ইহাই তাহার একমাত্র বিশেষত্ব। গ্যাঙ হাফার কবিতাটি পাঠ করিয়া সুখী হইতে পারিলেন না ; কিন্তু সম্রাটের সাক্ষাতে র্তাহার নিরপেক্ষ মত ব্যক্ত করিতে সাহসী না হইয়া কেবলমাত্র বলিলেন, “ইহার কিছু কিছু পরিবর্তনের আবশ্যক।” সম্রাট গ্যাঙ হাফারের নিকট হইতে কবিতাটি ফেরত লইয়া পুনর্বার তাহা পাঠ করিলেন ; তাহার পর বলিলেন, “ও: বুঝিয়াছি, উহাতে আমার নাম স্বাক্ষর নাই বলিয়াই তুমি এ কথা বলিলে।”—অনন্তর কৈসার এক কলম কালী লইয়া কবিতার নীচে আপনার নাম স্বাক্ষর পূর্বক তাহার সকল ক্ৰটী সংশোধন করিলেন। আর একদিন তঁহার চুরুটের গোড়া কাটিবার জন্য একখানি ছুরির আবশ্যক হয়। একটি যুবক-কৰ্ম্মচারী কৈসারের নিকটেই দাড়াইয়া ছিলেন ; তিনি পকেট হইতে একখানি ছুরি বাহির করিয়া কৈসারের সম্মুখে স্থাপন করিলেন। কৈসার সেই ছুরি দিয়া চুরুটের গোড়া কাটিয়া ছুরিখানি ফেরত দিলেন এবং হাসিয়া বলিলেন, “ছুরিখানি হরাইও না, তোমার এ ছুরি আজ হইতে স্মরণীয় হইয়া রহিল।” কৈসারের গোঁফের ডগা হইতে তাহার পায়ের জুতার বগলস্, পৰ্যন্ত সর্বত্রই উৎকট দম্ভের পরিচয় পাওয়া যায় । ইংলেণ্ডের সহিত । কৈসারের যুদ্ধ আরম্ভ হইলে তিনি ইংল্যাণ্ডেশ্বর-প্রদত্ত সম্মানিত উপাধিগুলি ত্যাগ কারিয়াছেন ; এবং বিভিন্ন উপাধির মৰ্য্যাদাসূচক যে সকল