পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

°3भ उक्षा Sy o ዓ· তিনি জামাতাকেই এই অপমানের জন্য দায়ী করিলেন। যদিও তিনি কৈসারের ভয়ে জামাতাকে প্ৰকাশ্যভাবে অবমানিত করিতে সাহস করিলেন না,-কিন্তু জামাতার পারিবারিক জীবনের সুখ-শান্তি হরণের যে ব্যবস্থা করিলেন-তাহাতে র্তাহার কূটবুদ্ধিরই পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি তঁহার বাস-গৃহের সন্নিকটে কন্যা-জামাতার বাসের জন্য একটি প্ৰকাণ্ড অট্টালিকা দান করিলেন, অট্টালিকাটি সুন্দরীরূপে সজ্জিত করা হইল ; কিন্তু তিনি কন্যার সহিত সেই অট্টালিকায় প্ৰভাত হইতে রাত্রি বারটা একটা পৰ্য্যন্ত বাস করিতে লাগিলেন ! নব বিবাহিত যুবক স্ত্রীর সহিত দু’দণ্ড প্ৰাণ খুলিয়া প্ৰেমালাপ করিবেন, তাহার উপায় রহিল না। মা মুহুর্তের জন্য মেয়েকে চক্ষুর অন্তরালে যাইতে দেন না ! ইহার উপর শ্বাশুড়ীর বাক্য-যন্ত্রণা, শ্লেষ, বিন্দ্রপ-বেদনার উপর বেলেস্তারার কাৰ্য্য করিতে লাগিল। বেচারা হিউয়েলসেনের পক্ষে “অরণ্য তেন গন্তব্যং যথারণ্যং তথা গৃহম’ হইয়া উঠিল !—হিউয়েলসেনের আক্ষেপের সীমা इळि न । অবশেষে হিউয়েলসেনের একজন হিতাকাজিহ্মণী রমণী-সাম্রাঞ্জীরই এক্ষজন সহচরী। তাহার মৰ্ম্ম-বেদনার কথা শুনিয়া বলিলেন, “কৈসারকে বলিবেন, তিনি ঘটক (schadchen) হইয়া যে বিবাহ ঘটাইয়াছেন, তাহার ফলে আপনার প্রাণান্ত ঘটিবার উপক্ৰম । অতএব তিনি যেন তাহার অনুগৃহীত ভূত্যের কষ্ট মোচনের একটা সুব্যবস্থা করেন।” এই কথা শুনিয়া হিউয়েলসেন বলিলেন “কখন না ; দশ লাখ টাকার বিনিময়েও আমি সম্রাটকে আমার মৰ্ম্মবেদনার কথা জানাইতে পারিব না । তিনি আমার কষ্টের কথা শুনিলেই আমার শ্বশুর-মন্দিরে উপস্থিত হইয়া শ্বাশুড়ী ঠাকুরাণীর কৈফিয়ৎ তলব করিয়া বসিবেন ।”