পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NO8 কোন পথে ? গ্ৰহণ করে বামপন্থীদের (অথবা ভুয়ো বামপন্থীদের ) একটা অংশ খোলাখুলিভাবে এই সম্মেলনের নিন্দ করে এবং অন্তর্ঘাতী কাৰ্যকলাপ চালিয়ে সম্মেলনকে পণ্ড করার জন্য আপ্ৰাণ প্ৰয়াস করে। প্ৰকৃতপক্ষে কয়েক মাস ধরে উত্তরোত্তর প্রকট হয়ে উঠছে, কিছুসংখ্যক বামপন্থী দক্ষিণপন্থীদের ভঁাবেদারের ভূমিকা গ্ৰহণ করতে আরম্ভ করেছে, তবে এরকম ঘটনা ইতিহাসে নতুন নয়। মানুষের বেঁচে থাকা মানেই শেখা, এবং যত বেশিদিন সে বঁাচে ততই সে বুঝতে পারেইতিহাস বারে বারে ফিরে ফিরে আসে-সুবিদিত এই প্ৰবচনটি कvड अ७ ! কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির যারা তল্পিবাহক তারা যুক্তি দেখাচ্ছে, কংগ্ৰেসই তো বৃহত্তম। আপসবিরোধী সম্মেলন, অতএব এইপ্ৰকার একটা সম্মেলন অনাবশ্যক। পাটনায় কংগ্রেস ওয়াকিং কমিটির শেষ বৈঠকে যে প্ৰস্তাব গৃহীত হয় আমাদের সামনে তা তুলে ধরে দেখানো হচ্ছে যে কংগ্রেস অ্যাপসবিরোধী নীতি গ্ৰহণ করেছে । এই ধরনের যুক্তির সারল্যাকে তারিফ না করে পারা যায় না, কিন্তু যারা রাজনীতিজ্ঞ, যারা রাজনৈতিক কর্মী তাদের এতটা সরল হওয়া কি শোভন ও সঙ্গত ? পাটনা প্ৰস্তাবের সবটা, বিশেষ করে তার শেষের অংশটুকু ভালো করে পড়ে দেখলে বুঝতে দেরি হয় না যে তাতে এমন অনেক ফঁাক আছে যা প্ৰস্তাবটির স্বকীয় গুরুত্বকে হ্রাস করেছে। এই প্ৰস্তাব গৃহীত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাত্মা গান্ধী এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিলেন, মীমাংসার উদ্দেশ্যে ভবিষ্যৎ আলাপ-আলোচনার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়নি । আইন অমান্যের উপর মহাত্মাজীর পরবতী দীর্ঘ মন্তব্য থেকে কোনক্রমেই আমরা আশ্বাস্ত হই না যে, সংগ্রামের পর্ব শুরু হয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে গত দেড় বছর ধরে আমাদের কাছে যা বিজ্ঞান্তি ও মর্মপীড়ার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে তা এই যে, একদিকে যেমন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা গরম গরম প্ৰস্তাব গ্ৰহণ করছেন এবং অনুরূপ বিবৃতি প্ৰকাশ করছেন, তেমনই একই সঙ্গে মহাত্মা গান্ধী বা