পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

See কোন পথে ? চলেছে। আমাদের অভীষ্টলাভে যেন সহায়তা করার জন্যই সরকার প্রথমদিন আঘাত হেনেছে, আবার শেষের দিনেও হেনেছে। যতবার তারা আঘাত হানবে, যত জোরে তারা আঘাত করবে, ততই বলিষ্ঠ হবে প্ৰতিক্রিয়া, তত বেশি জাগবে সাড়া । সে দিন চলে গেছে। যখন নিপীড়ন করে মানুষকে দাবিয়ে রাখা যায় । আমরা যখন এগিয়ে যাব, আরও অনেকে আমাদের অনুসরণ করবে, হয়ত বা কিছুটা মন্থরভাবে । দক্ষিণপন্থীরা সত্যাগ্ৰহ কমিটি, যুদ্ধ কাউন্সিল এবং ঐরকম কত কী গঠন করছে এবং নেতারা সার্ট-প্যান্ট পরে কুচকাওয়াজ করছে। ভাল কথা । কিন্তু কতদিন এই মুখপাত চলবে ? আসল নাটক কবে শুরু হবে ? যদি তা রামগড়ে শুরু হত আমরা তাহলে দক্ষিণপন্থীদের অনুগামী হতাম, অগ্ৰগামী হতাম না । কিন্তু ভাগ্যবিধাতার নির্দেশ আমাদের বাধ্য করেছে সংগ্রামের সূচীমুখ হতে, বাধ্য করেছে জাতীয় সেনার অগ্রবাহিনী হতে। এই ভূমিকা যে কোন ব্যক্তির জীবন সার্থক করে এবং তা পালন করার জন্য কোন उाशिई cठभन बद्ध मद्म । বাজুক দামামা, বাজুক তুর্য। যৌবনদৃপ্ত বক্ষে আসুক জীবনের জোয়ার, আনন্দে রক্ত নেচে উঠুক। মুক্তির লগ্ন সমাগত—আমাদের কেবল কর্তব্য করতে হবে এবং মূল্য দিতে হবে। বহুযুগের নিদ্রা ত্যাগ করে ভারত জেগে উঠেছে-এ ভারত পুনর্জাতি, পুনর্সঞ্জীবিত । ভারতমাতার পুত্রকন্যারা মহান যুদ্ধে লড়াই করতে চলেছে। যথাসাধ্য সাহায্য ও সহানুভূতি নিয়ে সকলে যোগ দিক। চরম পরীক্ষা এখন চলেছে। কে খাটি, কে মেকী, এবার আলাদা হয়ে যাচ্ছে । আলাদা হয়ে যাচ্ছে বামপন্থীদের থেকে দক্ষিণপন্থীরা । এই অগ্নিপরীক্ষা থেকে বামপন্থা জয়ী হয়ে বেরিয়ে আসবে । দক্ষিণপন্থাকে ত্যাগ করা মানে মধ্যপন্থা, প্ৰতিক্রিয়া ও আপসের পরাজয় । বামপন্থা জয়ী হয়ে যখন আত্মপ্ৰকাশ করবে, দুনিয়ায় এমন কোন শক্তি নেই যা ভারতকে তার স্বাধীনতার জন্মস্বত্ব থেকে বঞ্চিত Steve sits