পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জেলের চিঠি SS লোককে তোমার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে যেন দাড় করায়। সুবিধামাফিক সময় হবে। পরের অধিবেশনের শেষ দিন-অবশ্য দেখতে হবে যাতে পরবর্তী অধিবেশনের আগে অারেকবার নির্বাচনের সময় পাওয়া যায় । যদি বোঝা তাহলে সুবিধামাফিক সময়ে তোমার পদত্যাগ করার কথা আগেই জানিয়ে দিতে পার । আর সবের তুলনায় এটা অবশ্য সামান্য ব্যাপার। যে প্রশ্নটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ তা এই, আমরা কোথায় চলেছি-আমরা বলতে কংগ্রেসের কথা বলছি । একে একে লোকেরা।--কখনো কখনো বিশিষ্ট লোকেরা, যারা দেশের সেবা করেছে, দুঃখকষ্ট সযেছে, ত্যাগস্বীকার করেছে।--তারা বিরক্ত হয়ে কংগ্রেস ছেড়ে দিচ্ছে । এর ফলে যে ক্ষতি হয়েছে অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে তা পুত্রণ করা সম্ভব হয়নি, নিকট ভবিষ্যতে সেরকম কোন সম্ভাবনা আছে বলেও মনে হয় না। তাছাড়া, কোন নতুন লোক কংগ্ৰেসে যোগ দিচ্ছে, আমার নজরে পড়েনি । মহাত্মা গান্ধী সম্ভবত বুঝতে পেরেছেন, তার দলের পক্ষে এই ভাঙনের ফল হবে মর্মান্তিক, এবং সেইজন্যই বিনা শর্তে সহযোগিতা করার যে মনোভাব তার প্রথমে ছিল তা ত্যাগ করে তার বদলে বাছাই করা কয়েকজনকে দিয়ে আইন অমান্য শুক করে নিজেকে ও তঁর দলের লোকদের মুখ রক্ষা করতে চেয়েছেন । কিন্তু তা কি চোখে ধুলো দেওয়া নয় ? এ সহযোগিতাও নয়, গণসংগ্রামও নয়। এতে কেউই খুশি নয় এবং এর ফলে আমরা যেখানে ছিলাম। সেখানেই থাকব। তাছাড়া স্বরাজের সঙ্গে এই আন্দোলনের কোন যোগ নেই । এতে আমাদের দেশবাসীর একটা অংশকে শুধ পোকা দেওয়া চলতে পারে যারা সরল বিশ্বাসে মনে করে গান্ধিজীবী যখন আছেন তিনি কাজের কাজ কিছু একটা করছেন । সহযোগিতা বোঝা যায়। যতই অসঙ্গতি থাকি রায়পস্থাও বোঝা যায়। গণসংগ্ৰামও বোঝা যায় । কিন্তু এটা কি ? এও নয়, ও-ও নয়, কী যে, বোঝা ভার । Sò