পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 काम अदृथ ? শালীনতা বোধ ছিল না যে, আমাকে আক্রমণ করার আগে সম্পূর্ণ বিবৃতিটা প্ৰকাশ করে। ফরয়োর্ড ব্লক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে তার অগ্ৰগতি এমন অপ্ৰতিহত হয়েছে যে কোন কোন মহল তাতে আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে। তার অগ্ৰগতিকে কি ভাবে রোধ করা যায়এই ছিল তাদের চিন্তা। মাদক বর্জনের উপায় আমার বিবৃতিটা দিয়ে তারা আমাকে অপদস্থ করাবে ঠিক করেছিল। 8 কর্ণাটক থেকে পটপরিবর্তন হয় গুজরাটে, কিন্তু পাঠকদের সেখানে নিয়ে যাবার আগে ভিন্ন প্রসঙ্গে আমাকে কয়েকটি কথা বলে নিতে হচ্ছে। জুলাইয়ের গোড়ায়, বোম্বাই ত্যাগ করে মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটক যাবার আগে, আমি স্বল্পকালের জন্য জবলপুরে যাই। আমাদের সহমর্মী ও সমর্থকরা সেখানে একটি কনফারেন্স আহবান করেছিলেন । সেই জন্যে আমার সেখানে যাওয়া-যদিও আমার আসল উদ্দেশ্য ছিল মহাকোশল প্রদেশে (অর্থাৎ সি. পি. হিন্দুস্থানী প্রদেশ ) ফরোয়ার্ড ব্লককে জনপ্রিয় করা । সেই উপলক্ষ্যে মহাকোশলের বিভিন্ন জেলা থেকে ফরওয়ার্ড ব্লক সমর্থকদের একটা জমায়েত মত হয় এবং সেখানে আমাদের সংগঠনের সূত্রপাত ভালোভাবেই হয়েছিল। ১৯৩২ সালে আমি জবলপুরে গিয়েছিলাম, কিন্তু তখন গিয়েছিলাম বন্দী অবস্থায়, এবং, জব্বলপুর জেলে কয়েক মাস ছিলাম। পরের বার আমি যাই কংগ্রেস প্রেসিডেন্টরূপে। কিন্তু ত্রিপুরি ( জব্বলপুরের কাছে) কংগ্রেসে যখন যাই তখন আমি রোগে পঙ্গু এবং যখন ফিরে আসি তখনও তাই। সত্যি বলতে কি, আমাকে স্ট্রেচারে এবং অ্যাম্বুল্যান্স গাড়িতে করে বয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাই আমার পক্ষে জব্বলপুর, বা ত্রিপুরি, বা ত্রিপুরি কংগ্রেস,