敏9 কোন পথে ? ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে আপিস করার ৰিপদ সম্পর্কে বাধ্য হয়ে জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। একথাও আমি বলে রাখি যে, এই প্রশ্নে আমি এত গভীরভাবে বিচলিত যে, ঘটনাচক্ৰে কংগ্রেস যদি ভোটাধিক্যের জোরে যুক্তরাষ্ট্ৰীয় কাঠামোর বিষয়ে আপস করা অনুমোদন করে, আমি কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে আপসের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করা আমার কর্তব্য বলে মনে করব । এই বিবৃতি গান্ধীবাদী মহলে বিরক্তির কারণ হয় । ফেডারেশন সম্পর্কে আমার সুদৃঢ় অভিমত ততটা বিরক্তি ঘটায়নি, যতটা ঘটিয়েছিল। সেখানে আমার স্পষ্ট ইঙ্গিত যে, এই রকম সর্বাত্মক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্ত মানেই যে সংখ্যালঘিষ্ঠের মুখ চাপা দেওয়া বা তাদের নিস্ক্রিয় রাখা তা নয়। পরে যে ঝড় উঠেছিল। সম্ভবত এই থেকেই তার সূচনা হয় । যুক্তরাষ্ট্ৰীয় কাঠামো সম্পর্কে কংগ্রেসের আপসহীন বিরোধিতার নীতিকে অগ্ৰাহ্য করে কয়েকজন দক্ষিণপন্থী কংগ্ৰেসকমী খোলাখুলিভাবে যখন সংশোধিত আকারে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে গ্রহণের সপক্ষে বলে বেড়াচ্ছিলেন তাতে গান্ধীবাদী মহলে কোন বিরক্তি বা অসোয়াস্তি দেখা দেয়নি, অথচ অবাক লাগিল যখন দেখলাম অনেক বেশী ঐ নীতিসম্মত আমার বিবৃতি সবার বিরক্তি ও অসন্তোষের কারণ হল । আসলে, আমরা বামপন্থীরা লক্ষ্য না করে পারি নি যে, যে ফেডারেশন প্রশ্ন দেশের সামনে মস্ত একটা সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছিল, সে সম্পর্কে কংগ্রেসের সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন নীতি থাকা সত্ত্বেও দক্ষিণপন্থী কোন নেতাই তার বিরুদ্ধে কখনই কোন জোরদার আন্দোলন শুরু করেননি । ১৯৩৮-এর অক্টোবরে দিল্লীতে কংগ্রেসের শিল্পমন্ত্রীদের এক কনফারেন্স বসে এবং তাতে আমি সভাপতিত্ব করি। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, একটি ন্যাশনাল প্ল্যানিং কমিটি নিয়োগ করা হবে। সেই মিটিংয়ে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও গণ্যমান্য আরও কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন এবং কারও কাছ থেকে আপত্তিসূচক কিছু শোনা যায়নি, অথচ মহাত্মা