পাতা:কোরাণ-তত্ত্ব - ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোরাণ-তত্ত্ব । 《○ সার মৰ্ম্ম লোকে না বুঝিলে ভবিষ্যতে শ্ৰীকৃষ্ণের প্রতি লোকের কোনরূপ ঘৃণা আসে এই কারণে ও উক্ত ঘটনা সত্য ও উপদেশ পূর্ণ থাকার প্রমাণ স্বরূপ কোরণে এই আয়াত লিপিবদ্ধ হইয়াছে। শ্ৰীমদ্ভাগবতে হিরণ্য কশিপু ও প্ৰহলাদের বিষয় লিখিত আছে । উক্ত গল্প হইতে দুইটী উপদেশ প্রাপ্ত হওয়া যায়। প্রথমতঃ আল্লার প্রিয় ভক্তকে অগ্নিতে নিক্ষেপ করিলেও দগ্ধ হয় না বা কোনরূপ কষ্ট হয় না, পক্ষান্তরে ভগবাণের গুণগানে অপার আনন্দ উপভোগ করে। মহম্মদ (আলা ) কোরাণে নমরুদ ও এভ্রাহিমের কাহিনী ছলে উক্ত ঘটনা সত্য বলিয়া স্বীকার করিয়া গিয়াছেন। দ্বিতীয়তঃ হিরণ্য কশিপু প্ৰহলাদের নিকট ভগবানের অস্তিত্ব সম্বন্ধে নিদর্শন দেখিতে চাহিলে ভক্ত প্ৰহলাদের প্রার্থনা মত স্ফটিকস্তস্ত বিদীর্ণ করিয়া এক নরসিংহ অবতার বাহির হইয়াছিল। মহম্মদ (আলা) কোরাণে হজরত ছালেহ ও ছমুদ জাতির কাহিনী ছলে ছালেহর প্রার্থন মত পাথর বিদীর্ণ করিয়া গর্ভবত্নী উল্পী নির্গমনের কাহিনী দ্বারা উপরোক্ত ঘটনার সত্যত স্বীকার করিয়াছেন। মহাভারতে কর্ণোপখ্যান অর্থাৎ কর্ণ ভগবানের স্তুষ্টির জন্য সন্ত্রীক পুত্রকে কোরবাণি করিয়াছিল মহম্মদ (আলা) কোরাণে এব্রাহিম এবং এস্মাইলের কাহিনী ছলে উক্ত ঘটনা সত্য বলিয়৷ স্বীকার করিয়াছেন । কিন্তু কোরবাণির পর ভগবান কর্ণপুত্র বৃষকেতুকে পূনর্জীবিত করিয়াছিলেন। আরববাসীগণ মহম্মদকে