পাতা:কোরাণ-তত্ত্ব - ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᏩᏔ% কোরাণ-তত্ত্ব । (আলা) কোরাণে সোলেমান ও বিলকিছ কাহিনীছলে উক্ত ঘটনা সত্য বলিয়া স্বীকার করিয়া গিয়াছেন। একদিবস নারদ ও নারায়ণ ছদ্মবেশে দেশ ভ্রমণে বহির্গত হয়েন ( ভগবান কি উদ্দেশ্যে কোন কর্য্যে করেন তাহার প্রকৃত উদ্দেশ্য কেহ জানিতে সক্ষম নহে তথাপি লোকে ভগবানে নানারূপ দোষারোপ করিয়া থাকে ) অন্ধকার রাত্রি, তৎসহ মেঘ ও বৃষ্টি, জঙ্গলাকীর্ণ পথ কোথাও আশ্রয় লইবার স্থান নাই অবশেষে একটা মুদী দোকানে উপস্থিত হইলেন তথায় আশ্রয় প্রার্থন করিলেন কিন্তু বহুরূপ কাকুতি মিনতি করা সত্ত্বেও তথায় আশ্রয় পাইলেন না তখন উভয়ে উক্ত গৃহ হইতে প্রস্থান করিলেন এবং প্রস্থান সময়ে একটী বহুমূল্য স্বর্ণনিৰ্ম্মিত পেয়াল মুদির অজ্ঞাতসারে, নারদের জ্ঞাতসারে, রাখিয়া গেলেন তাহাতে পথিমধ্যে নারদ শ্ৰীনারায়ণকে নানারূপ দোষারোপ করিলেও তিনি উত্তর করিলেন না। পরদিন দ্বাদশীর পারণ করিবার জন্য একটী ধনাঢ্য লোকের বাড়ীতে অতিথিরূপে উপস্থিত হইলেন। তিনি বহু অনুনয় বিনয় করা সত্ত্বেও ব্রাহ্মণ বেশধারী নারায়ণ ও নারদকে উপবাসী থাকা সত্ত্বেও আহারাদির কোন ব্যবস্থা করিলেন না বাড়ী হইতে তাড়াইয়া দিলেন। তখন নারায়ণ ঐ ধনাঢ্য ব্যক্তিকে অতুল ঐশ্বৰ্য্যের অধিপতি হইবে বলিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিলেন, উক্ত ঘটনাতেও নারদ নানারূপ দোষারোপ করিলেও নারায়ণ কোন উত্তর করিলেন না। তৎপর উভয়ে একটা দীনহীন ভিক্ষুক ব্রাহ্মণের জীর্ণ পর্ণকুটীরে উপস্থিত হইলেন। ঐ সময়ে ব্রাহ্মণ