পাতা:কোরাণ-তত্ত্ব - ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোরাণ-তত্ত্ব । Wじ○ কীট যেমন একগাছি সূত্রকে দ্বার করিয়া স্বশরীর হইতে বহুসূত্র বহিস্কৃত করে; আবার সেই সূত্রটি দ্বারাই বহির্ভাগ হইতে সূত্ররাশি অভ্যস্তরে প্রবিষ্ট করেন। সেই প্রকার এই জীব যখন এই দেহ হইতে বহির্গত হয়,তখন বাগাদি সমস্তকেই গ্রহণ করিয়া গমন করে যত্র যাগ্রতি শুভাশুভং নিরুক্তং অস্ত দেবস্ত সম্প্রসারোহন্তৰ্য্যামী খগঃ কর্কটক পুষ্কর; পুরুষঃ প্রাণে হিংসা পরাপরং ব্রহ্মাত্মা দেবতা বেদয়তি ॥ স এবং বেদ ন পরং ব্রহ্মধাম ক্ষেত্ৰজ্ঞমুপৈতি স পরং ব্রহ্মধাম ক্ষেত্ৰজ্ঞমুপৈতি ॥ ব্রহ্মোপনিষৎ । জাগ্রৎ সময়ে পুরুষের শুভাশুভ হইয়া থাকে। এই পুরুষ হইতেই এই লোকের সম্যক প্রসার অর্থাৎ আবির্ভাব হয়। ইনি অন্তৰ্য্যামী অর্থাৎ ইনি দেহাভ্যন্তরে অবস্থিত থাকিয়া বাগাদি ইন্দ্রিয়গণকে স্ব স্ব বিষয়ে নিয়মিত করিতেছেন। এই পুরুষ দেশান্তর হইতে বস্তু গ্রহণ করেন, সেই হেতু ইহাকে পক্ষিতুল্য বলা হইয়াছে ; বক্রগতি বশত: ইনি কর্কট নামক জলচর প্রাণি সদৃশ। এই পুরুষই দেহাদির পুষ্টিসাধন করেন এবং ইনি এই দেহরূপ পুরীতে বাস করেন বলিয়া ইহার নাম পুরুষ। ইনি প্রাণের কৰ্ত্তা, এ জন্য ইহাকে প্রাণ বলা হইয়া থাকে। ইনিই হিংসা করেন বিধায় হিংসক, আবার ইনিই কারণ ও কার্ষ্যরূপে সর্ববাশ্রয় স্বরূপ ক্ষেত্ৰজ্ঞ আত্মাকে প্রাপ্ত হয়েন।