পাতা:কোরাণ-তত্ত্ব - ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ど কোরাণ-তত্ত্ব । বাহদৃষ্টি যাবে দূরে অন্তদৃষ্টি হবে। খোদা ভিন্ন আর কিছু দেখিতে না পাবে। এ ভব সংসার তব মিথ্য জ্ঞান হবে । বিশ্বময় খোদা এই জ্ঞান তব হবে ৷ পারিবে তখন তুমি খোদারে চিনিতে। গুণান্বিত হবে তুমি খোদার গুণেতে ॥ তুমি (হে মহাম্মদ ) ফেরেস্তাদিগকে দেখিবে আরশের চরি পাশ্বে ঘিরিয়া রহিয়াছে । সুরা জেমির । পরিশিষ্ট ৩৩ অ’? দেখ । মন্তব্য—আরশ খোদার বসিবার আসন বিশেষ । তাহার চারিদিকে যখন ফেরেস্ত দাড়াইবে তখন ঐ তারশ সীমা বিশিষ্ট । ( বলদ সুরা ১৮ আয়েত ) “সৎকাৰ্য্যকারীগণ দক্ষিণের মালিক ” ( বলদ সুরা ১৯ আয়েত ) “কোরণের আয়েত অস্বীকারকারীগণ বামদিগের মালীক ।” এস্থলে দেখা যায় সাকার ব্যতীত নিরাকার আল্লা ঐরূপ আরশে বসিতে পারেন না বা তাহার দক্ষিণ ও বাম পাকিতে পারে না। অতএব সাকার ব্যতীত নিরাকার খোদাকে দেখা যাইতে পারে না ইহাই হিন্দু ধৰ্ম্মের মত ও কোরাণের মত। কেয়ামতের সময় যখন দেখা দিবেন তখন সাকার রূপ অবলম্বন করিয়া আসনে বসিবেন ও সকলেই তাহাকে দেখিতে পাইবে । আমি খোদাকে দেখিয়াছি অতি সুন্দর ছুরত ( চেহারা ) । মিস্কাত হদিছ পরিশিষ্ট ৩৪ আঃ দেখ । মন্তব্য—মহাম্মদ (আলা) খোদাকে সাকার রূপে দেখিয়া ছেন। যাহার অন্ধ তাহারাই বলে ইহ জগতে দেখা যাইবে