পাতা:কৌতুক-কাহিনী.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষণ্ডাসুর । v50 কখন প্ৰস্তর নড়িয়ছে, কখনো বা রেখামাত্র সরিয়াছে, কিন্তু উঠে নাই। ভূবিজয় কতদিন প্রভাত হইতে সন্ধ্যা পৰ্যন্ত পরিশ্রম করিয়াছেন, গুরুতর শ্রমে তাহার মুখে রক্ত উঠিয়াছে, তিনি অচেতন্যপ্রায় হইয়া ভূতলে পড়িয়া থাকিয়াছেন, আবার উঠিয়া আবার প্রস্তরকে আকর্ষণ করিয়াছেন, কিন্তু যত্ন সফল হয় নাই । আজ ভূবিজয় মাতার সঙ্গে আসিয়া প্ৰভাতেই পৰ্ব্বতোপত্যকায় গেলেন ; মাতাকে এক শিলাখণ্ডের উপর বসাইয়া কহিলেন,- “বয়সে বালক, মাতঃ, নাহি আমি আর তথাপি শিশুর প্রায় দুর্বল, আসার । আজিও তুলিতে শিলা সক্ষম না হই, পিতার গ্ৰহণী-যোগ্য এখনও নই।-- কি লজ্জা, মা, করিয়াছি। এই দৃঢ় পণ আজি কাৰ্য্যসিদ্ধি কিম্বা জীবন-পাতন ।” এই বলিয়া আর কথা না কহিয়া ভূবিজয় গাত্ৰবন্ত্র সকল ফেলিয়া দিলেন, এবং সেই অতি বিশাল প্ৰস্তরখণ্ডের এক কোণ ধরিয়া প্ৰাণপণ আকর্ষণ করিতে লাগিলেন । দণ্ডের পর দণ্ড, প্ৰহরের পর প্রহর যাইতে লাগিল, ভূবিজয়ের বিরাম নাই । প্ৰস্তর খণ্ড পর্বতের কঠিন মাটিতে বসিয়া গিয়া তাহারই এক অংশ-স্বরূপ হইয়া গিয়াছিল; আজ প্ৰবল শক্তিতে আকৃষ্ট হইয়া নড়িতে লাগিল । বেলা তিন প্ৰহরের সময় একবার কতক পরিমাণে উঠিল; কিন্তু উঠিয়াই ভীষণ শব্দে পড়িয়া গেল। তখন मछि পুত্রে আনন্দধ্বনি করিয়া উঠিলেন। ভূবিজয় সগৰ্বে