পাতা:কৌতুক-কাহিনী.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Web কৌতুক-কাহিনী । করিতে, লাগিল। রাজপুত্ৰ এই সঙ্গীদিগকে পাইয়া অত্যন্ত সুখী হইলেন ও তাহাদের সহিত বাৰ্ত্তালাপে অনায়াসে পথ চলিতে লাগিলেন। কিন্তু গাভী কি চিরদিন চলিবে ? কোথাও কি থামিবে না ? এক বৎসরের অধিককাল অতীত হইয়াছে কালিকেশ তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিয়াছেন, আর কত দিন এ ভাবে যাইবে ? একদিন দুপ্রহরকালে গাভী সহসা এক বনের প্রান্ত ভাগে একটা বৃক্ষতলে শুইল ; ইতিপূর্বে এক বৎসরের মধ্যে সে আর কখনো শোয় নাই ! কালিকেশ ও ভঁাহার সঙ্গিগণ ইহা দেখিয়া অত্যন্ত হৃষ্ট হইলেন। দুপ্রহর কালের রৌদ্র ; তঁাতাদের শরীর অত্যন্ত তপ্ত হইয়াছিল ও পিপাসায় তাহদের কণ্ঠ শুষ্ক হইতেছিল—তাহারা গাভীর পশ্চাতে বৃক্ষতলে কিছু দূরে বদিলেন। অনতিদূরে নানাবিধ ফলের বৃক্ষে ফল সকল পাকিয়া বুলিতেছিল এবং নীচে একটি ক্ষুদ্র নিঝরিণী বহিতেছিল । কালিকেশ ঘাসের উপর শুইয়া বিশ্রাম করিতে লাগিলেন, তাহার সঙ্গিগণ কহিল-“রাজকুমার, আপনি এই খানে বিশ্রাম করুন, আমরা আপনার জন্য ফল ও জল লইয়া আসিতেছি।” এই বলিয়া তাহার কারণার দিকে চলিয়া গেল । কালিকেশ আলস্যবশে চক্ষু মুদিয়াছেন, নিদ্ৰা আসে আসে এমন সময় কাতর চীৎকার ও ক্ৰন্দনের শব্দ ও সাপের গর্জনের মত গজ্জন তঁহাকে চমকিত করিল। তিনি এক লক্ষে উঠিয়া কোষ হইতে তরবারি খুলিয়া চক্ষু মুছিয়া চাহিলেন এবং শুনিলেন, নিকারের দিক