পাতা:কৌতুক-কাহিনী.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a、o○ কৌতুক-কাহিনী । মন্দ ভঁাহার হস্তে একটি স্বৰ্ণ কৌটা দিয়া কহিলেন- ‘ এই কোটাতে যে তৈল আছে, উহা তোমার সমস্ত শরীরে ভাল করিয়া মাখিয়া যুদ্ধে যাইও, তাহা হইলে বৃষদ্বয়ের অগ্নিময় নিশ্বাসে তোমার শরীর পুড়িবে না । দু'প্ৰহর রাত্ৰিতে এই স্থানে আমার সহিত সাক্ষাৎ করিবে ; আমি তোমাকে বুধন্বয়ের নিকট লইয়া যাইব৷” এই বলিয়া মন্দা অন্তঃপুরাভিমুখে চলিয়া gcoभ । দু'প্রহর রাত্ৰিতে জয়সেন নির্দিস্টস্থানে আসিয়া অপেক্ষা করিতেছেন। মন্দা অন্তঃপুর হইতে আসিলেন এবং তঁহার শরীরে আপনি হস্তে তৈল মাখিয়া দিলেন । তারপর তাঁহাকে সঙ্গে লইয়া যেখানে লৌহের বেড়ার বেষ্টিত ভূমিখণ্ডে বৃষদ্বয় শুইয়াছিল। সেই দিকে চলিলেন । বুষদ্বয্যের অগ্নিময় নিশ্বাসে চতুর্দিকের বায়ু গরম হইয়াছিল, জয়সেন যত অগ্রসর হইতে লাগিলেন, ততই ইহা বুঝিতে লাগিলেন। তিনি দূর হইতে দেখিলেন, কৃষ্ণবর্ণ বৃষিাসুরদ্বয় শয়ন করিয়া আছে আর তাহদের নাসারন্ধ, হইতে ক্ষণে ক্ষণে অগ্নিশিখা হতেছে ক্ষরণ, চমকে মেঘের কোলে বিদ্যুৎ যেমন ; সে আলোকে পশুদের দেহ দেখা যায় আগ্নেয় পর্বত সম পড়িয়া ধরায় । অৰ্দ্ধ নিমীলিত আখি, রোমস্থনে রত, কণ্ঠেতে ঘর্ঘর শব্দ হ’তেছে নিয়ত ।