পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরণ শাস্ত্রী.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ বৎসরের যুবক স্ক্রাফটনও বাঙ্গলার ভাগ্যচক্র পরিবর্তন করিবার জন্য বদ্ধপরিকর হইলেন । ইনি ও এক জন বিপতি|পুরুষ হইয়। বঙ্গলার ললাটে কলম ডালিবার উপক্রম করিলেন । আমাদের দেশের স্বার্থপর প্রধাণ মহাশয়ের, স্বর্থরক্ষার জন্য ইংরেজদের সহিত মিলিত হইয়। নিজেদের পারে কুঠার মারিবার উপ ক্ৰম করিলেন । দরবার হইতে ইংরেজ দূতের বহিস্কারের পর তাহার। অনতিবিলম্বে বিপ্লব সাধনের চেষ্টা করিতে লাগিলেন । উমিচাঁদ, জগৎশেঠের বাড়ীতে গিয়৷ এক ব্যক্তিকে স্থির করিলেন । ইহার নাম ইয়ার লতিফ, এ সিরাজের ভূ ত্য হইলেও শেঠেদের অন্নদাস —শেঠেদের কথায় এ উঠে ও বসে সুতরাং এ নবাব হইলে শেঠেদের স্বর্থ সৰ্ব্বতে। তবে স্থরক্ষিত হইবে। শেঠেদের এ প্রস্তাবে বামন ইংরেজ, আকাশের চাদ হাতে পাইল, বিশ্বাসঘাতক স্বদেশদ্রোহীকে হস্তগত করিতে ন পারিলে দেশবিজয় কাৰ্য্য সম্পূর্ণরূপে সুসিদ্ধ হয় না। ইংরেজ যখন শেঠেদের মতন মুক্লবী পাইল, তখন আকাশের চাদ হতে পাওয়৷ অপেক্ষ যে অধিক প্রীত হইবে তাঁহাতে আর আশ্চর্য্য কি ? এই সময় আর একটি ঘটন, উপস্থিত হয় । ২২শে এপ্রেল মধ্যরাত্রে হুগলীতে নন্দকুমারের কাছে ক্লাইবের মুন্সী উপস্থিত হইয়। কর্ণেল তাহাকে আহবান করিতেছেন, ইহা জ্ঞাপন করে। প্রত্যুত্তরে নন্দকুমার তাহার কার্য্য সমাধ। হইলে দেখা করিব ইহ বলিয়া পাঠান । সুৰ্য্যোদয়ের এক ঘণ্ট। পূর্বে পুনরায় একজুন -