পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরণ শাস্ত্রী.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিরাজের পলায়ন । Š8ች দাদপুরে ক্লাইবের সহিত মীরজাফরের সাক্ষাৎ হইল। ক্লাইব অতি সন্মানের সহিত গ্রহণ করিয়া তাহাকে নবাব বলিয়া সম্বোধন করিলেন। মীরজাফরের মস্তক বিঘূর্ণিত হইল। তিনি বিনা প্রয়াসে সুবে বাঙ্গলার নবাব বলিয়া গৃহীত হইলেন। সিরাজ, মুর্শিদাবাদে উপস্থিত হইয়া পুনরায় যুদ্ধ করিবার জন্য চেষ্টা করিলেন। সৈন্যগণ মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অর্থ বিতরণ করিলেন । কিছুতেই তিনি স্থির হইলেন না । বিশ্বাসঘাতকদিগের পৈশাচিক ব্যপার তাহার মানসপটে অঙ্কিত হইল। তাহাদিগের পিশাচলীল যেন তাহার চতুর্দিকেই ব্যক্ত হইতে লাগিল। মুর্শিদাবাদে অবস্থান করা আর কল্যাণকর নহে বিবেচনা করিয়া, তিনি গুপ্তভাবে তস্করের ন্যায় নিজের প্রাসাদ হইতে নিশীথ রাত্রে পলায়ন করিলেন । মোহনলাল পরিবারবর্গের সহিত ধনরত্ন লইয়। পূর্ণিয়া অতিমুখে পলায়ন করিলেন। ফরাসীবীর সিনফ্রে অবশিষ্ট ফরাসী সহ বীরভূম অভিমুখে পলায়ন করিলেন। মীরজাফর, মুর্শিদাবাদের ধনভাণ্ডার হস্তগত করিবার জন্য পুত্রসহ ত্বরিত গতিতে গমন করিলেন । পিতা, সিরাজের মুনসুরগঞ্জ প্রাসাদ এবং পুত্র জাফরগঞ্জ ভবন অধিকার করিলেন । ক্লাইব ২৬শে সয়দাবাদে ফরাসীদের কুঠীতে র্তাবু ফেলিলেন । নবাবের ধনভাণ্ডার যাহাতে না কেহ সরাইয় ফেলে সে বিষয় নজর রাখিবার জন্য ওয়াটস, ও ওয়ালস ইতিপূৰ্ব্বেই মুর্শিদাবাদে উপস্থিত হইয়াছেন। অর্থব্যবহারে রায়দুলভ ইংরেজের বড় প্রতিপ্রদ হইতে পারেন নাই। শ্ৰীমান্যু ২৬শে জুনের পত্রের একস্থানে লিখিয়াছেন “রায়দুলভ, তাহার যাহা কিছু জেণ্ট,