পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরণ শাস্ত্রী.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՀ ক্লাইব চরিত । ਾਂ- ! - Hmmmm অনুসারে কার্য্য না করা হয় তাহ হইলে ইহা বড়ই আশ্চর্ঘ্যের বিষয় হইবে।” নবাব ওয়াটসনকে এই তারিখে অপর একখানি পত্র লিখিলেন তাহার কিয়দংশ প্রদত্ত হইল । “আপনি নিজের হস্তাক্ষর ও শিলমোহর অঙ্কিত পত্রে স্বীকার করিয়াছেন যে, আপনি এদেশের শান্তিভঙ্গ করিবেন না। কিন্তু এখন শুনিতেছি আপনি নাকি চন্দননগর অবরোধ করিতে মনঃস্থ করিয়াছেন । আপনার দেশের বিবাদ আমার দেশে আন৷ তাহ। এদেশের আইনবহির্ভূত। বাদসার রাজ্যে ইয়ুরোপীয়রা পরস্পর বিবাদে প্রবৃত্ত হইয়াছে, তৈমুরের সময় হইতে একথা কেহ শুনে নাই । যদি ফরাসীদের কুঠী অবরোধ করা স্থির করিয়া থাকেন তাহ হইলে আমাকে তাগত্য ফরাসীদিগকে সাহায্য করিবার জন্য সৈন্য প্রেরণ করিতে হইবে।” ২০শে কুচ ক্রী ওয়াটস অগ্রদ্বীপের কাছে উপস্থিত হইলেন । তিনি যত নবাবের নিকটবৰ্ত্তী হইলেন তাহার চক্রের প্রসারও ততই বৃদ্ধি পাইতে লাগিল । তিনি এরূপ নিভীকতার সহিত ঘুষের বন্দোবস্ত করিতে লাগিলেন যে তাহা শুনিলে বিস্ময়াপন্ন হইতে হয়। নবাব, ইহার অণুমাত্র অবগত হইলেও তাহার মস্তক স্কন্ধচু্যত হইত, তাহাতে অণুমাত্র সন্দেহ নাই। যাহার। প্রত্যহ একাধিক বার মৃত্যুমুখে পতিত হয় তাহারাই মৃত্যুকে ভয়ঙ্কর বিবেচনা করিয়া থাকে। তাহারাই পৈত্রিক প্রাণ যে কোন রূপে হউক রক্ষা করিতে যত্নবান হয় । ওয়াটস, নবাবের গুপ্তচর বিভাগের প্রধান পুরুষকে উৎকোচ মহিমায় মুগ্ধ করিলেন । এই পুরুষপ্রবরের নাম রাজারাম, ইহার কাছে ওয়াটস নবাবের হৃদয়ের কথা অবগত হইলেন। প্রাণের মমতা, চামড়ার সুখ