পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরন শাস্ত্রী.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ । Goo তাহার। মহারাট্টা বা পাঠান অথবা অন্য কোন শক্ৰকে আহবান করিবার কল্পনা করিতেছে। সেই শত্রু এদেশে আসিলেই উহারা তাহাদেৱ সহিত মিলিত হইয়া আপনার বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করিবে ।” ইত্যাদি নানা প্ৰকার লিখিয়া নবাবকে ব্যতিব্যস্ত করিতে চেষ্টা পায়। ক্লাইব, স্বাৰ্থ সাধনের জন্য লর উপর যে দোষ আরোপ করিয়াছেন। তাহ সম্পূর্ণ মিথ্যা, তাহাতে সত্যের লেশ মাত্র ও ছিল না । নবাব ইংরাজদের ধৃষ্ট তায় ক্রুদ্ধ হইয়। তাহদের উকীলকে ২০ সে এপ্ৰেল দরবার হইতে দূর করিয়া দেন। এই দিবস। ইংরাজ স্কাফিষ্টন যে পত্ৰ লিখিয়াছিলেন নিয়ে সারম ত্ম প্রদত্ত হইল। “বালকের। বেণীক্ষণ ক্ৰোধ লুকাইয়। রাখিতে পারে না । আজি হৃদয় ভেঙ্গে বাহির হইয়াছে । আমাদের উকীল তাহার কাছে গেলে-সে দেখিবা মাত্ৰই তাহাকে দরবার থেকে দূর করিয়া তাড়াইয়া দিয়াছে ! আসিবার সময় শুনিতে পাইল, সে বলিতেছে, “সবংশে তাদের আমি ধবংস করিব।” সসৈন্য মীরজাফর যাত্রার জন্য আদিষ্ট হইয়াছে, সেও তাহাকে অনুগমন করিবে । এ গমনের কারণ জিজ্ঞাসায় উত্তরে বলে ‘ওরা বার বার ফরাসীদের দেবার জন্য লিখিতেছে, ওদের আর চিঠি আমি গ্ৰহণ করিব না ।” ভগবানের দোহাই এখন দিন কতক উহাকে ঠাণ্ড রাখিতে হইবে, ঠিক সময় এখনও হয় নাই, আমৗচাদ, জগৎ শেঠের কাছে গিয়াছে। লতিফকে আমরা মনোনীত করি তঁাহার এই ইচ্ছা! তাহার মারফৎ তিনি আমাদিগকে জানাইবেন । আমাকে যদি ক্ষমতা দেওয়া হয় তাহা হইলে আমি শপথ করিয়া বলিতে পারি