পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরন শাস্ত্রী.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । Og মহাভাগ ছত্ৰপতি শিবাজী, যেৰূপ পদ্ধতি অবলম্বন করিয়া স্বরাজ্য সংস্থাপন করিয়াছিলেন ; পশ্চাৎকালে যদি তঁাহার উত্তরাধিকারীগণ সেই নীতি অবলম্বন করিতেন, তাহা হইলে ভারতবর্ষ কখন বিদেশীর আধিনতা পাশে আবদ্ধ হইত না । ইংরাজিদিগের সহিত আংরের শেষ যুদ্ধ বর্ণনা করিবার পূর্কে, তাহাদের কথা একটু বিস্তুত ভাবে বর্ণিত হইল। ইহাতে সে সময়ের হিন্দুদিগের নৌশক্তির অবস্থা কি রূপ ছিল তাহা পাঠকদিগের বুঝিবার পক্ষে সুবিধা সম্পাদন করিবে। শিবাজীর যে সকল অদ্ভুতকৰ্ম্মা নৌসেনাপতি ছিলেন, তঁহাদিগের মধ্যে তুকাজী আংরে। বিশেষ খ্যাতিলাভ করিয়াছিলেন। তুকাজীর পুত্ৰ কানহোজী বা কানাজী, রাজারামের রণতরীর দ্বিতীয় নৌসেনাপতি ছিলেন। ১৬৯৮ খৃঃ সিন্দোজী গুজরের মৃত্যুর পর তিনি প্রধান অধ্যক্ষ পদে উন্নীত হন। র্তাহার প্রতাপে বোম্বাই হইতে ত্ৰিবান্ধুর পর্য্যন্ত সমুদ্রপথগামী নাবিক সকল সদা সৰ্ব্বদা ত্ৰাসযুক্ত হইয়া অবস্থান করিত। মোগল নৌ-সেনাপতি সিদিরা ১৬৯৯ খৃঃঅব্দে একবার মারহাট্টাদিগকে পরাজয় করেন। কিন্তু কানাজী জলপথে সিদিদিগের-দৰ্পচূৰ্ণ করিয়া হিন্দু প্ৰাধান্য জলপথে অক্ষুন্ন রাখিয়াছিলেন। কানাজীর গৰ্ব্ব খৰ্ব্ব করিবার জন্য পূর্ব পরাজিত পটুগিজ ও সিদ্দিরা একত্রিত হইয়া । কানাজীকে আক্রমণ করেন। কিন্তু কানাজীর শূরত-বীরতা-ও বুদ্ধিমত্তার কাছে পটুগিজ ও সিদ্দিদের প্রযত্ন সম্পূর্ণরূপে বিফল