পাতা:ক্লিওপেট্রা (নবীনচন্দ্র সেন).pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(২৬)

নিরখি অসাবধানে শায়িত শরীর,
প্রতিকুল দেয়ালের দীর্ঘ আরসীতে।
শিথিল হৃদয় যন্ত্রে, কভু চারমিয়ন্‌!
মধুরে বাজিতে ছিল আনন্দ-সঙ্গীত;
আবার অজ্ঞাতে সখি! না জানি কেমনে
বিষাদ ভাঙ্গিতেছিল সে লয় মধুর।
কখন হাসিতেছিনু, না জানি কারণ;
আবার অজ্ঞাতে অশ্রু নয়নে কখন
হটাৎ আসিতেছিল, না জানি কেমনে।
একটী মানব-ছায়া এমন সময়ে,
পতিত হইল সখি! কক্ষ-গালিচায়;
পলকে ফিরাতে নেত্র দেখিলাম চক্ষে
প্রাণেশ আমার! কিন্তু সেই মূর্ত্তি! যেই
মূর্ত্তি, অন্য দিন কক্ষে প্রবেশিতে মম,
বিকাশিত প্রেমানন্দ, ললাটে, নয়নে;
হাসি রূপে সমুজ্জ্বল করিত অধরে;
নিঃসারিত সম্ভাষিতে,—‘কই গো কোথায়
প্রাচীনা নীলজ[১] চারু ফণিনী আমার?’
সেই মূর্ত্তি আজি দেখি গাম্ভীর্য্য-আধার,


  1. নীলজ———নীলনদীজাত।