পাতা:খণ্ড-প্রলয় - বিহারীলাল চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোহ-শেল। সূচনা ৷ হিমালয় পৰ্ব্বত । (পুরঞ্জনের প্রবেশ ) পুর। যে ব্যক্তি আত্মা মন ভগবানে সমর্পণ করে এবং সমস্ত পার্থিব সুখে জলাঞ্জলি দিয়ে তারি উপাসনাতে রত হয়, সেই যথার্থ সুখী । শুক সনাতনাদি মহাপুরুষগণ কৌমার -ব্রহ্মচৰ্য্য অবলম্বন করে সংসারবন্ধন হতে মুক্ত হয়েছেন ; আমিও তাদের পদচিহ্ন অনুসরণ করে জীবন্মুক্ত হব । ( অগ্রসর ) ( কালের আবির্ভাব ) কাল । পুরঞ্জন ! কোথা যাও, কোথা যাও ? প্রত্যাগমন কর । তুমি যুবক, সংসারচরিত্র অনভিজ্ঞ । এ সময়ে এ বয়সে এ উদ্যম ভাল নয় । পর_। আপনি কে ? কেন আমাকে নিবারণ কচ্ছেন ? কাল । আমি কাল ! আমার মায়ায় তোমার চক্ষু আবরিত, তোমার দক্ষিণ হস্ত আবদ্ধ । বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমান্বয়ে তোমার হস্তবন্ধন মোচন হবে এবং তোমার চক্ষের আবরণও অপসারিত হবে । তখন তুমি স্পষ্টরূপে সংসার সন্দর্শন ও সৎকার্য্যের অনুষ্ঠান করতে পারবে । এক্ষণে প্রতিনিবৃত্ত হও, আর অগ্রসর হবার প্রয়োজন নাই ।