পাতা:খণ্ড-প্রলয় - বিহারীলাল চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম গৰ্ভাস্ক l অসীপত্র বন । ህ. ( পুরঞ্জনের প্রবেশ ) গীত । নিবাসে নিরাশ হয়ে, প্রবাসে করি গমন । দূরে ফেলি মহানিধি বৃথা করি অন্বেষণ । উদিলে সে দিন মণি, আলোকিত এ ধরণী, নয়নহীনের কাছে তবু আঁধার ভুবন ;– বিনে সেই দয়াময়, সংসার অাধারময়, নিতি মনে ভয় হয়, পাছে নিরয়ে করি গমন । আশা আসে সব পাশে, মোরে কভু না সস্তাষে, প্রাণ আকুল সে হুতাশে, নিরাশে হই নিগমন ॥ কি নিবিড় বন ! কি ভয়ঙ্কর অন্ধকার । কিছুই দেথা যাচ্ছে না। আমি যে গতিহীন হলেম । প্রতি বৃক্ষের সংস্পর্শে শরীর ক্ষতবিক্ষত হল। আর চলতে পারি না। ওকি ! কে ও ! রক্তবস্ত্রপরিধান, রক্তিমবরণ, উন্মত্ত। ভীম। ভয়ঙ্করী মূৰ্ত্তিতে এইদিকে আগমন করছে ! উঃ ওর তীব্ৰ গাত্ৰগন্ধে প্রাণ বহির্গত হচ্ছে । অার সহ হয় না, তার সহ্য হয় না। কে ও ! কি বলছে, মদির। অামায় সম্ভাষণ করতে আসছে । পিশাচী ! দূর হ—দূর হ, তুই আমার এ সৰ্ব্বনাশের মুল । আমি তোর সে বা করেই নানা দুস্কার্য্য করে এ দুর্দশাগ্রস্ত হয়েছি । যা পিশাচী এখনি দুর হ। কস্মিনকালেও আর তোর মুখাবলোকন