(অর্থাৎ)
বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে হরিদ্রা রোপিলে। আষাঢ় শ্রাবণ ভাদ্রে নিড়াইয়া দিলে॥ প্রচুর হরিদ্রা তথা সময়ে পাইবে। অন্যথায় সুফল কিছুতেই নাহি হবে।
(৫১)
ফাল্গুনে আগুন চৈতে মাটি। বাঁশ বলৈ শীঘ্র উঠি॥
(অর্থাৎ)
শুষ্ক বাঁশপাতা যত পড়িবে তলায়। ফাল্গুনে আগুন লাগাইয়া দিবে তায়। পরিষ্কার হবে তল জঞ্জাল না রবে। চৈত্র মাসে গোড়ায় মাটী দিবে। হইবে বাঁশের গোড়া শক্ত অতিশয়॥ চতুর্দ্দিকে কোড়কে বেড়িবে সমুদয়।
(৫২)
শুনবাপু চাষার বেটা। বঁশ ঝাড়ে দাও ধানের চিটা দিলে চিঠা বাশের গোড়ে। দুই কুড়া ভূঁই বেড়বে ঝাড়ে॥
(অর্থাৎ)
ধায়নর আগ্ডা দিলে বাঁশের গোড়াতে বাড়িবে বাশের বাড়, নাহি ভুল তাতে। কারণ তাতেই তার সার জন্মায়। সার বিনে গাছ পালা বাঁচিয়ে কোথায়।
(৫৩)
বলে খনা শুন শুন। শরতের শেষে মুলা বুন॥
তামাক বনে গুড়িয়ে মাটি। বীজ পুতো গুটি গুটি॥
ঘন ঘন পুতো না। পৌষের অধিক রেখ না॥