হিঁয়াসে।” ছাগল পিছনের দু পায়ে ভর দিয়া দাঁড়াইয়া উঠিল, এবং সাম্নের দু পা মুড়িয়া ঘাড় বাঁকাইয়া রায়-বাহাদুরকে ঢুঁ মারিল।
রায়-বাহাদুর কৌতুক বোধ করিলেন। ফের ঠেলা দিলেন। ছাগল আবার খাড়া হইল এবং খপ্ করিয়া তাঁর হাত হইতে চুরুটটি কাড়িয়া লইল। আহারান্তে বলিল—“অর্-র্-র্”, অর্থাৎ আর আছে?
বংশলোচনের সিগার-কেসে আর একটিমাত্র চুরুট ছিল। তিনি সেটি বাহির করিয়া দিলেন। ছাগলের মাথা-ঘোরা, গা-বমি বা অপর কোনো ভাব-বৈলক্ষণ্য প্রকাশ পাইল না। দ্বিতীয় চুরুট নিঃশেষ করিয়া পুনরায় জিজ্ঞাসা করিল—“অর্-র্-র্?” বংশলোচন বলিলেন— “আর নেই। তুই এইবার যা। আমিও উঠি।”
ছাগল বিশ্বাস করিল না, পকেট তল্লাস করিতে লাগিল। বংশলোচন নিরুপায় হইয়া চামড়ার সিগারকেসটি খুলিয়া ছাগলের সম্মুখে ধরিয়া বলিলেন—“না বিশ্বাস হয়, এই দেখ্ বাপু।” ছাগল এক লম্ফে সিগার-কেস কাড়িয়া লইয়া চর্ববণ আরম্ভ করিল। রায়বাহাদুর রাগিবেন কি হাসিবেন স্থির করিতে না পারিয়া বলিয়া ফেলিলেন—“শ্-শালা।”
৯১