চিত্র। কৃষ্ণ রাধাকে লইয়া কদমতলায় দাঁড়াইয়া আছেন,—একটি প্রকাণ্ড সাপ তাহাদিগকে পাক দিয়া পিষিয়া ফেলিবার চেষ্টা করিতেছে, কিন্তু রাধাকৃষ্ণের ভ্রুক্ষেপ নাই; কারণ, সাপটি বাস্তবিক সাপ নয়, ওঁ-কার মাত্র। তাছাড়া কতকগুলি মেমের ছবি আছে, তাদের অঙ্গে সিল্কের ব্রাহ্মসাড়ী এবং মাথায় কালো সুতার আলুলায়িত পরচুল! ময়দার কাই দিয়া আটিয়ে দেওয়া হইয়াছে। কিন্তু তাতেও তাদের মুখের দুরন্ত মেম-মেম-ভাব ঢাকা পড়ে নাই, সেজন্য জোর করিয়া নাক বিধাইয়া দেওয়া হইয়াছে। ঘরে দুটি দেওয়াল- আলমারিতে চিনামাটির পুতুল এবং কাচের খেলনা ঠাসা। উপরের শুইবার ঘরের চারটি আলমারি বোঝাই হইয়া যাহা বাড়তি হইয়াছে, তাহাই নীচে স্থান পাইয়াছে। ইহা ভিন্ন আরো নানা প্রকার আসবাব, যথা রাজা-রাণীর ছবি, রায়-বাহাদুরের পরিচিত ও অপরিচিত ছোট-বড় সাহেবের ফটোগ্রাফ, গিল্টির ক্রেমে বাঁধানো আয়না, আলমানাক্, ঘড়ি, রায়-বাহাদুরের সনদ, কয়েকটি অভিনন্দন-পত্র ইত্যাদি।
আজও যথাসময়ে আড্ডা বসিয়াছে। বংশলোচন এখনো বেড়াইয়া ফেরেন নাই। তার অন্তরঙ্গ বন্ধু
৯৫