তিনি ছাগল দিবেন না। এমন লোক চাই, যে যত্ন করিয়া প্রতিপালন করিবে, টাকার লোভে বেচিবে না, মাংসের লোভে মারিবে না।
আটটা বাজিয়াছে। বংশলোচন বহির্ব্বাটীর বারান্দায় চেয়ারে বসিয়া আছেন, নাপিত কামাইয়া দিতেছে। বিনোদবাবু ও নগেন অমৃতবাজারে ড্যালহাউসি ভার্সস্ মোহনবাগান পড়িতেছেন। উদয় ল্যাংড়া আমের দর করিতেছে। এমন সময় চুকন্দর আসিয়া সেলাম করিয়া বলিল—“লাটুবাবু আয়ে হেঁ।”
তিনজন সহচরের সহিত লাটুবাবু বারান্দায় আসিয়া নমস্কার করিলেন। তাঁহাদের প্রত্যেকের বেশভূষা প্রায় একই প্রকার,—ঘাড়ের চুল আমুল ছাঁটা, মাথার উপর পর্ব্বতাকার তেড়ি, রগের কাছে দু গোছা চুল ফণা ধরিয়া আছে। হাতে রিষ্ট-ওয়াচ, গায়ে আগুল্ফলম্বিত পাতলা পাঞ্জাবী, তার ভিতর দিয়া গোলাবী গেঞ্জির আভা দেখা যাইতেছে। পায়ে লপেটা, কাণে অর্দ্ধদগ্ধ সিগারেট।
বংশলোচন বলিলেন—“আপনাদের কোত্থেকে আসা হচ্চে?”
লাটুবাবু বলিলেন—“আমরা বেলেঘাটা কেরাসিন ব্যাণ্ড। ব্যাণ্ড-মাষ্টার লটবর লন্দী —অধীন। লোকে
১০৬