এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গড্ডলিকা
সপারিষদ্ লাটুবাবু প্রবেশ করিলেন। লম্বকর্ণও সঙ্গে আছে। বিনোদ বলিলেন—“কি ব্যাণ্ড-মাষ্টার, আবার কি মনে করে?”
লাটুবাবুর আর সে লাবণ্য নাই। চুল উস্ক খুস্ক, চোখ বসিয়া গিয়াছে, জামা ছিঁড়িয়া গিয়াছে। সজলনয়নে হাঁউ মাউ করিয়া বলিলেন—“সর্ব্বনাশ হয়েচে মশায়, ধনে প্রাণে মেরেচে। ও হোঃ হোঃ হো।”
নরহরি বলিলেন—“আঃ কি কর লাটুবাবু একটু থির হও। হুজুর যখন রয়েচেন, তখন একটা বিহিত করবেনই।”
বংশলোচন ভীত হইয়া বলিলেন—“কি হয়েচে—ব্যাপার কি?”
লাটু। মশায়, ওঁই পাঁঠাটা—
চাটুয্যে বলিলেন—“হুঁ, বলেছিলুম কি না?”
লাটু। ঢোলের চামড়া কেটেচে, ব্যায়লার তাঁত খেয়েচে, হারমোনিয়ার চাবী সমস্ত চিবিয়েচে। আর —আর—আমার পাঞ্জাবীর পকেট কেটে লব্বই টাকার লোট—ও হো হো হো।
নরহরি। গিলে ফেলেচে। পাঁঠা নয় হুজুর
১১২