হাত বুলাইয়া আস্তে আস্তে সরিয়া পড়িলেন। লম্বকর্ণ তখন আহারে ব্যস্ত।
দূরে আসিয়াও বংশলোচন বারবার পিছু ফিরিয়া দেখিতে লাগিলেন। লম্বকর্ণ আহার শেষ করিয়া এদিক ওদিক চাহিতেছে। যদি তাঁহাকে দেখিয়া ফেলে এখনি পশ্চাদ্ধাবন করিবে। এদিকে আকাশের অবস্থাও ভাল নয়। বংশলোচন জোরে জোরে চলিতে লাগিলেন।
আর পারা যায় না, হাঁফ ধরিতেছে। পথের ধারে একটা তেঁতুল গাছের তলায় বংশলোচন বসিয়া পড়িলেন। লম্বকর্ণকে আর দেখা যায় না। এইবার তাঁর মুক্তি,— আর কিছুদিন দেরি করিলে জড়ভরতের অবস্থা হইত। ঐ হতভাগা কৃষ্ণের জীবকে আশ্রয় দিতে গিয়া তিনি নাকাল হইয়াছেন। গৃহিণী তার উপর মর্মান্তিক রুষ্ট, আত্মীয়স্বজন তাকে খাইবার জন্য হাঁ করিয়া আছে,— তিনি একা কাঁহাতক সামলাইবেন? হায় রে সত্যযুগ, যখন শিবিরাজা শরণাগত কপোতের জন্য প্রাণ দিতে গিয়াছিলেন,—মহিষীর ক্রোধ, সভাসদ্বর্গের বেয়াদবি, কিছুই তাঁকে ভোগ করিতে হয় নাই।
দ্রুম দুদ্দুড়ূ দুড়ূ জুড় দড়ড়ড় ড়। আকাশে কে ঢেঁটরা পিটিতেছে? বংশলোচন চমকিত হইয়া উপরে চাহিয়া
১১৮