পরিণত হন। সাহেবদের মধ্যে যাঁরা আস্তিক, তাঁদের আত্মা আছে বটে, কিন্তু পুনর্জন্ম নাই। তাঁরা মৃত্যুর পর ভূত হইয়া প্রথমতঃ একটি বড় ওয়েটিং-রূমে জমায়েৎ হন। তথায় কল্পবাসের পর তাঁদের শেষ বিচার হয়। রায় বাহির হইলে কতকগুলি ভূত অনন্ত স্বর্গে এবং অবশিষ্ট সকলে অনন্ত নরকে আশ্রয়লাভ করেন। সাহেবরা জীবদ্দশায় যে স্বাধীনতা ভোগ করেন, ভূতাবস্থায় তাহা অনেকটা কমিয়া যায়। বিলাতী প্রেতাত্মা বিনা পাশে ওয়েটিং-রূম ছাড়িতে পারে না। যাঁরা seance দেখিয়াছেন, তাঁরা জানেন বিলাতী ভূত নামানো কি রকম কঠিন কাজ। হিন্দুর জন্য অন্যরূপ বন্দোবস্ত, কারণ আমরা পুনর্জন্ম, স্বর্গ, নরক, কর্ম্মফল, ত্বয়া হৃষিকেশ, নির্ব্বাণ, মুক্তি, সবই মানি। হিন্দু মরিলে প্রথমে ভূত হয় এবং যত্র তত্র স্বাধীনভাবে বাস করিতে পারে,——আবশ্যক-মত ইহলোকের সঙ্গে কারবারও করিতে পারে। এটা একটা মস্ত সুবিধা কিন্তু এই অবস্থা বেশী দিন স্থায়ী নয়। কেহ কেহ দু'চার দিন পরেই পুনর্জন্ম লাভ করে, কেউ বা দশ-বিশ বৎসর পরে, কেউ বা দু’তিন শতাব্দী পরে। ভূতদিগকে মাঝে মাঝে চেঞ্জের জন্য স্বর্গে ও নরকে পাঠানো হয়। এটা তাদের
১২৮