অটলবাবু ঘরে আসিয়া বলিলেন—“এই যে শ্যাম-দা, অনেকক্ষণ এসেচেন বুঝি? বড় দেরী হয়ে গেল,—কিছু মনে করবেন না,—হাইকোর্টে একটা মোশন ছিল। ব্রাদার-ইন্-ল কোথায়?”
শ্যামবাবু। বিপিন গেছে বাগবাজারে তিনকড়ি বাঁড়ুয্যের কাছে। আজ পাকা কথা নিয়ে আসবে। এই এল বলে।
অটলবাবু চাপকান-চোগাধারী সদ্যোজাত এটর্নি। পিতার অফিসে সম্প্রতি জুনিয়ার পার্ট্নার-রূপে যোগ দিয়াছেন। গৌরবর্ণ, সুপুরুষ,—বিপিনের বাল্যবন্ধু। বয়সে নবীন হইলেও চাতুর্য্যে পরিপক্ব। জিজ্ঞাসা করিলেন—“বুড়ো রাজি হ’ল? আচ্ছা ওকে ধরলেন কি করে?”
শ্যাম। আরে তিনকড়িবাবু হলেন গে শরতের খুড়শ্বশুর। বিপিনের মাস্তুতো ভাই শরৎ। ঐ শরতের সঙ্গে গিয়ে তিনকড়িবাবুকে ধরি। সহজে কি রাজি হয়? বুড়ো যেমন কঞ্জুষ, তেম্নি সন্দিগ্ধ। বলে—আমি হলুম রায়-সাহেব, রিটায়ার্ড ডেপুটি, গবরমেণ্টের কাছে কত মান। কোম্পানির ডিরেক্টর হয়ে কি শেষে পেন্শন্ খোয়াব? তখন নজীর দিয়ে বোঝালুম-কত
৬