পিরেতের পরিচয়ও দিল। যক্ষ বলিলেন—“সব স্যাঙাতের একই হাল দেখ্চি। পুরানো কথা ভেবে মন খারাপ করে ফল নেই, এখন একটু গাওনা-বাজনা করি এস। পাখোয়াজ নেই,— তেমন জুৎ হবে না। আচ্ছা, পেট চাপ্ড়েই ঠেকা দিই। উহুঁ—ঢন্ ঢন্ কচ্চে। বাবা ছাতুখোর, একটু এঁটেল-মাটি চট্কে এই মধ্যিখানে থাব্ড়ে দে ত। ঠিক হয়েচে। চৌতাল বোঝো? ছ মাত্রা, চার তাল, দুই ফাঁক্। বোল্ শোনো—
ধা ধা ধিন্ তা কৎ তা গে, গিন্নি ঘা দেন কর্ত্তা কে।
ধরে তাড়া কোরে খিট্খিটে কথা কয়
ধূর্ত্তা গিন্নি কর্ত্তা গাধা রে।
ঘাড়ে ধরে ঘন ঘন ঘা কত ধুম্ ধুম্ দিতে থাকে
টুঁটি টিপে ঝুঁটি ধরে উল্টে পাল্টে ফ্যালে
গিন্নি ঘুঘুটির ক্ষমতা কম নয়।
ধাক্কা ধুক্কি দিতে ত্রুটি ধনি করে না
নগণ্য নির্ধন কর্ত্তা গাধা—
‘ধা’ এর ওপর সোম। ধিন্ তা তেরে কেটে গদি ঘেনে ধা। এই ‘ধা’ ফস্কালেই সব মাটি। গলাটা ধরে আস্চে। বাবা খোট্টাভূত, আর এক ছিলিম সাজ্ বেটা।”
১৪২