শাঁকচুন্নী। দূর্ মেছোপেত্নী, আমি যে ওর দুজন্ম আগেকার বউ।
পেত্নী। দূর্ গোবরচুন্নি, আমি যে ওর তিন জন্ম আগেকার বউ।
শাকচুন্নী। মর্ চেঁচিয়ে, ওদিকে ডাইনী মাগী মিন্সেকে নিয়ে উধাও হোক্।
তখন পেত্নী বিড় বিড় করিয়া মন্ত্র পড়িয়া আগড় বন্ধ করিয়া বলিল——“আগে তোর ঘাড় মট্কাবো তারপর ডাইনী বেটীকে খাবো।”
কাম্ড়া কাম্ড়ি চুলোচুলি আরম্ভ হইল। একা নৃত্যকালীতেই রক্ষা নাই, তার উপর পূর্ববর্তন দুই জন্মের আরো দুই পত্নী হাজির। শিবু হাতে পৈতা জড়াইয়া ইষ্টমন্ত্র জপিতে লাগিল। নৃত্যকালী রাগে ফুলিতে লাগিল।
এমন সময় নেপথ্যে যক্ষের গলা শোনা গেল—
ধনি, গুন্চ কিবা আন্মনে
ভাব্চ বুঝি শ্যামের বাঁশী ডাক্চে তোমায় বাঁশবনে।
ওটা যে খ্যাঁক্শেয়ালী, দিওনা কুলে কালি
রাত-বিরেতে শ্যাল্কুকুরের ছুঁচোপ্যাঁচার ডাক্ শুনে।
যক্ষ বেড়ার কাছে আসিয়া বলিলেন—“ভায়া এখানে। হচ্চে কি? অত গোল কিসের?”
১৪৫
১০