কাল কোট, লাল নেকটাই, হাতে সবুজ ফেল্ট্ হ্যাট। উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ, ক্ষীণকায়, গোঁফের দুই প্রান্ত কামানো। শ্যামবাবু ব্যস্ত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন—“কি হল?”
বিপিন। ডিরেক্টর হবেন বলেচেন; কিন্তু মাত্র দু’হাজার টাকার শেয়ার নেবেন। তোমাকে, অটলকে, আমাকে পরশু সকালে ভাত খাবার নিমন্ত্রণ করেচেন। এই নাও চিঠি।
অটল। তিনকড়িবাবু হঠাৎ এত সদয় যে?
শ্যাম। বুঝলুম না। বোধ হয় ফেলো ডিরেক্টরদের একবার বাজিয়ে যাচাই করে নিতে চান।
অটল। যাক্, এবার কাজ আরম্ভ করুন। আমি মেমোরাণ্ডম্ আর আর্টিকেল্সের মুসবিদা এনেচি। শ্যাম-দা প্রস পেক্টস টা কি রকম লিখলেন পড়ুন।
শ্যাম। হাঁ, সকলে মন দিয়ে শোনো। কিছু বদলাতে হয় ত এই বেলা। দুর্গা—দুর্গা—
জয় সিদ্ধিদাতা গণেশ।
১৯১৩ সালের ৭ আইন অনুসারে রেজিষ্টৃত।
শ্রীশ্রীসিদ্ধেশ্বরী লিমিটেড।
মুলধন—দশ লক্ষ টাকা, ১০৲ হিসাবে ১০০,০০০ অংশে বিভক্ত। আবেদনের সঙ্গে অংশ-পিছু ২৲ প্রদেয়। বাকী টাকা ৪ কিস্তিতে তিন মাসের নোটিসে প্রয়োজন-মত দিতে হইবে।
১১