গণ্ডেরীর ভবিষ্যদ্বাণী সফল হইয়াছে। বিজ্ঞাপনের জোরে এবং প্রতিষ্ঠাতৃগণের চেষ্টায় সমস্ত শেয়ারই বিলি হুইয়া গিয়াছে। লোকে শেয়ার লইবার জন্য অস্থির, বাজারে চড়া দামে বেচা-কেনা হইতেছে।
অটলবাবু বলিলেন—“আর কেন শ্যাম-দা, এইবার নিজের শেয়ার সব ঝেড়ে দেওয়া যাক। গণ্ডেরী ত খুব একচোট মারলে। আজকে ডবল দর। দুদিন পরে কেউ ছোঁবেও না।”
শ্যাম। বেচতে হয় বেচ, মোদ্দা কিছু ত হাতে রাখতেই হবে, নইলে ডিরেক্টর হবে কি করে?
অটল। ডিরেক্টরি আপনি করুন গে। আমি আর হাঙ্গামায় থাকতে চাইনে। সিদ্ধেশ্বরীর কৃপায় আপনার ত কার্য্যসিদ্ধি হয়েচে।
শ্যাম। এই ত সবে আরম্ভ। মন্দির, ঘরদোর, হাট-বাজার সবই ত বাকী। তোমাকে কি এখন ছাড়া যায়!
অটল। থেকে আমার লাভ? পেটে খেলে পিঠে সয়। এখন ত ব্রাদার-ইন্-ল কোম্পানির মরশুম চল্ল। আমাদের এইখানেই শেষ।
শ্যাম। আরে ব্যস্ত হও কেন, এক যাত্রায় কি পৃথক
৩০