একদিন গোবিন্দপুরে নিজে গিয়ে কাজকর্ম্ম তদারক করে আসুন।
তিনকড়ি। হ্যাঁঃ, আমি এই বাতের শরীর নিয়ে তোমার ধ্যাধ্যেড়ে গোবিন্দপুরে গিয়ে মরি আর কি। সে হবে না, —আমার টাকা ফেরৎ দাও। কোম্পানি ত যেতে বসেছে। শেয়ার-হোল্ডাররা মার-মার কাটকাট করচে।
শ্যামবাবু কপালে যুক্তকর ঠেকাইয়া বলিলেন— “সকলি জগন্মাতার ইচ্ছা। মানুষ ভাবে এক, হয় আর এক। এতদিন ত মন্দির শেষ হওয়ারই কথা। গুলো অজ্ঞাতপূর্ব্ব কারণে খরচ বেশী হয়ে গিয়ে টাকার অনাটন হয়ে পড়ল,—তাতে আমাদের আর অপরাধ কি? কিন্তু চিন্তার কোনো কারণ নেই, ক্রমশঃ সব ঠিক হয়ে যাবে। আর একটা callএর টাকা তুললেই সমস্ত দেনা শোধ হয়ে যাবে, কাজও এগ্রেবে।”
গণ্ডেরী বলিলেন—“আউর টাকা কোই দিবে না। আপনোকা থোড়াই বিশোয়াস্ করবে।”
শ্যাম। বিশ্বাস না করে, নাচার্। আমি দায়মুক্ত,—মা যেমন করে পারেন নিজের কাজ চালিয়ে নিন। আমাকে বাবা বিশ্বনাথ কাশীতে টানচেন,সেখানেই আশ্রয় নোবো।
৩৩
৩