ষষ্ঠিবাবু মুড়িগুড়ি দিয়া এক কোণে বসিয়াছিলেন। তাঁর মাথায় বালাক্লাভা টুপি, গলায় দাড়ি এবং তার উপর কম্ফর্টার। বলিলেন—“বাপ্, এই শীতে অবেলায় কখনো ট্রাম চড়ে? শরীর অসাড় হলে আছাড় খেতেই হবে। নন্দর শরীর একটু গরম রাখা দরকার।”
নিধু বলিল,—“নন্-দা, মোটা চাল ছাড়। সেই এক বিরিঞ্চির আমোলের ফরাস তাকিয়া, লক্কড় পাল্কি গাড়ি আর পক্ষীরাজ ঘোড়া, এতে গায়ে গত্তি লাগবে কিসে? তোমার পয়হার অভাব কি বাওয়া? একটু ফুর্ত্তি করতে শেখ।”
সাব্যস্ত হইল কাল সকালে নন্দবাবু ডাক্তার তফাদারের বাড়ী যাইবেন।
ডাক্তার তফাদার M. D., M. R. AS গ্রে ষ্ট্রীটে থাকেন। প্রকাণ্ড বাড়ী, দুখানা মোটর, একটা ল্যাণ্ড। খুব পসার, রোগীরা ডাকিয়া সহজে পায় না। দেড় ঘণ্টা পাশের কামরায় অপেক্ষা করার পর নন্দবাবুর ডাক পড়িল। ডাক্তার সাহেবের ঘরে গিয়া দেখিলেন এখনো একটি রোগীর পরীক্ষা চলিতেছে। একজন
৪৪