বলিলেন—“বহুৎ মজেসে চল্ রহা।” রোগী বলিল—“জবান ত দেখিয়ে।” রোগী হাঁ করিল, ডাক্তার ঘরের অপর দিকে দাঁড়াইয়া অপেরা গ্লাস দ্বারা তাহার জিভ দেখিয়া বলিলেন—“থোড়েসি কসর্ হ্যায়। কল্ ফিন্ আনা।”
রোগী চলিয়া গেলে তফাদার নন্দর দিকে চাহিয়া বলিলেন—“ওয়েল?”
নন্দ বলিলেন—“আজ্ঞে বড় বিপদে পড়ে আপনার কাছে এসেচি। কাল হঠাৎ ট্রাম থেকে—”
তফাদার। কম্পাউণ্ড ফ্রাক্চার? হাড় ভেঙেচে?
নন্দবাবু আনুপূর্ব্বক তাঁর অবস্থা বর্ণনা করিলেন। বেদনা নাই, জ্বর হয় না, পেটের অসুখ, সর্দ্দী, হাঁপানি নাই। ক্ষুধা কাল হইতে একটু কমিয়াছে। রাত্রে দুঃস্বপ্ন দেখিয়াছেন। মনে বড় আতঙ্ক।
ডাক্তার তাঁহার বুক, পেট, মাথা, হাত, পা, নাড়ী পরীক্ষা করিয়া বলিলেন—“জিভ দেখি।” নন্দবাবু জিভ বাহির করিলেন।
ডাক্তার ক্ষণকাল মুখ বাঁকাইয়া কলম ধরিলেন। প্রেস্কৃপ্শন লেখা শেষ হইলে নন্দর দিকে চাহিয়া বলিলেন—“আপনি এখন জিভ টেনে নিতে পারেন। এই ওষুধ রোজ তিনবার খাবেন।”
৪৬