পাতা:গদ্য পদ্য রচিত নানাবিধ জ্ঞানগর্ভ পাঠ.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* * १. উদ্ভিঞ্জের পরিচয় ও স^খ্যা । অশ্বৰকৌশলে কলিকা মধ্যে বদ্ধ করিয়া রাখা হইয়াছে। এবং বসন্তকালে গ্রীষ্মের অধিকার সময়ে উদ্ভিজ্জগণের স্থলহইতে রস উত্থিত হইলেই, ঐ পত্র ও পুপ অতিশয় আশ্চস্থ্যরূপে বিকসিত হয়, এব• জড়িতাবস্থাহইতে মুক্ত হওত ক্রমশঃ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় । ইহাতেই বসস্তকালে ব্ৰক্ষমণ্ডলী ও পুষ্পগণ অতি মনোহর শোভা ধারণ করে । চমৎকার দেখ, প্রথমতঃ স্তক্ষে কতকগুলিন পত্রগুপরহিত শাখা বই আর কিছুই ছিল না ; অল্প কালের মধ্যে সেই শাখাগণ হরিদ্বর্ণ পত্রময় হয় ; অনন্তর তাহাতে পুপ fলগত হওয়াতে ফল ধরিবার স্থত্র হয় ; এবং ঐ ফল ক্রমে ২ বড় হইয়া পরিণত হইলে গ্রীষ্ম ও বর্ষণকালে পরিপক্ক হইয়া অবশেষে ভূমিতে পতিত হইতে থাকে। শরৎকালে বিলাত দেশে অধিকাংশ স্তক্ষের পত্র সকল পড়িয়া ও পচিয়া যায়, এবং সকল তেজঃ স্থলেতে অধোগত হয় কিন্তু কতকগুলিন ব্ৰক্ষ শীতকালেতেও পত্র ধারণ করিয়া থাকে। এরূপ ব্ৰক্ষকে চিরহরিৎ কহ যায়। পত্র সকলের আকার ও অবয়ব বিবিধ প্রকার হওয়াতে বিশেষ ২ আকারের বিশেষ ২ নাম অাছে। এবণ উদ্ভিজ্জবেক্তারা কোন পুষ্পের নাম প্রাপ্ত হইবার পূৰ্বে তাহার পত্রের অবয়ব কিরূপ তাহাই অগ্রে বিবেচনা করিয়া দেখেন । পত্ৰধারণকারি উপশাখাকে পত্ৰদণ্ড কহে এবং পত্রের মধ্যভাগস্থ শিরাকে মধ্যপত্রপঞ্জর কহা যায়। পত্রের ত্রয়োদশ বিধ আকার । ১ । ডিমেরু অবয়ব সত্ত্বশ পত্রকে অণ্ডাকার বলে ; যথা, শfজনা, নারিকেলীকুল, গোলাৰ । ২। অপ্তাকার তুহু কিন্তু বোটারদিকে সৰু পত্রকে উপাণ্ডাকার কহে; যথা, বাদাম, কাঠাল । ১। উভয় সীমায় সমান প্রশস্ত পত্র বাদামিয়া ; যথা, মেন্দি, অণশ্বfাওড়া, বাতাবিনেবু, কালকাসন্দা। ৪। যে পত্রের আকার কলমের মত, তাহাকে কলমাকার বলে ; যথা, বাবলা, তেঁতুল, কুঁচ, আমুলকি।