পাতা:গদ্য পদ্য রচিত নানাবিধ জ্ঞানগর্ভ পাঠ.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছাত্ৰবোধ । (A H যায়, তাহা আপনাকে প্রতিদান করিব । রাজা ঈষৎ হাস্য করিয়া কহিলেম, ভাল তাহাই হইবে । তদনন্তর, কালিদাস উদ্ধবাহু হইয়। অতি গভীর স্বরে রাজাকে আশীৰ্বাদ করিয়া কহিলেন, মহারাজ ! সেই অনাদিরাদিরীশ্বর বিপন্ন জন পাবন ভূতভাৰম ভাবময় ! তাপমাকে দীর্ষজীবী করুন । আপনি অতি সৎ পুপ্র, কুলতিলক ; আপনি যে পিস্তঋণ পরিশোধ করিলেন, ইহা কোন বিচিত্র । পরে কালিদাস হর্ষোৎফুল্ল চিত্তে সহাস্তবদনে সেই নিদিষ্ট ব্লক্ষের নিকটে উপনীত হইলেন ; এব০ তৎক্ষণাৎ তাহার স্থলদেশ খনন করিয়া স্থগৰ্বহইতে দুইটি তাত্ৰকলস পূর্ণ দুই কোটি রত্ন প্রাগু হইলেন । অনন্তর সেই দুই কলস সমেত রাজ সভায় পুনরাগমন করিয়া কহিতে লাগিলেন, হে নরবর! আমি সেই স্তক্ষের স্থলহইতে দুই কোটি রত্ন প্রাপ্ত হইয়াছি, আমার প্রাপ্ত এক কোটি নবমৰতি লক্ষ রত্ন আমি গ্রহণ করিলাম ; অপর লক্ষ রত্ন তাপনি গ্রহণ করিতে আজ্ঞা হউক । মরপতি অন্যন্ত চমৎকৃত হইয়া কহিলেন, হে হুবুদ্ধিশে4র কবিকুলতিলক পণ্ডিতবর! আপনি কিরূপে জানিলেন, যে রত্ন ব্লক্ষের স্থলে fমহিত আছে । কালিদাস কহিলেন, মহারাজের জনক মহাত্মা লিখিয়াছিলেন, “ আষাঢ়াস্ত দিবসের মঞ্চাহকালে আমার নদীতীরস্থ উদ্ভামেয় মধ্যস্থিত তালস্তক্ষোপরি অনেক রত্ন রাখিলাম।” ইহার অর্থ এই যে আষাঢ়ান্ত দিবসের মঞ্চাহ্নকালে মস্তকের ছায়া পদতলে আসিয়া থাকে । এই সঙ্কেতে ব্লক্ষের স্থলদেশ খনন করিয়া এই রত্ন প্রাও হইলাম। মতুবা স্তুক্ষের উপরিভাগে মুদ্রা রাখা সম্ভাবিত নহে। ইহা শুনিৰামাত্র রাজা বিস্ময়াপন্ন হইয়া কালিদাসকে অগষ্ঠ ধন্থবাদ প্রদাম শ্বৰক অপর লক্ষ রত্নও উহাকে গ্রহণ করিতে অস্থরোধ করিলেন ; এবং সভা মঞ্চে দণ্ডায়মাম হইয়া সসস্তুমে কালিদাসের পাদ বনমে পূর্বক কহিতে লাগিলেন, ধন্থ রে স্বগীয় স্থধাভিষিক্ত কবিতা শক্তি ! তোমার অসাং কার্য ভূমণ্ডলে তার কি আছে ! তোমা হাতিরেকে আর এরূপ বুদ্ধিমত্তা, প্রকাশ করিতে কে সমর্থ হইবে ! প্রজাপতি ব্ৰহ্মার স্তুষ্টি অপেক্ষাও তোমার স্বষ্টি চমৎকারিণী ! ব্রহ্মার স্তুষ্ঠি পঞ্চস্থতাত্মক পদার্থ নিৰ্ম্মিত । তোমার স্বষ্টি কেবল বাত্মাত্রাত্মক খুন্ড পদার্থদ্বারা রচিত হইয়াও কি পর্য্যন্ত মনোহারিণী ও চমৎকারিণী হই к 2