«G о ছাত্রৰোধ । বায়ু বিষম দুষ্ঠ হইয়া ভয়ঙ্কর মারাত্মক শক্তি ধারণ করে। যদি কোন ব্যক্তিকে অন্তস্ত সঙ্কীর্ণ স্থানে বদ্ধ করিয়া রাখা যায়, এৰণ তাহাতে বাহিরের বায়ু প্রবিষ্ট হইতে না পারে, তবে তাহার প্রত্যেক প্রশ্বাস fনগত কার্বণিক আসিদ দ্বারা সেই স্থান স্থিত সমুদায় বায়ু ছুপ্ত হইয়। উঠে এবং সে ব্যক্তি প্রন্তেক নিশ্বাসে উত্তরোত্তর সেই ছুপ্ত বায়ু আকর্ষণ করিতে কfরতে জীবনের প্রধান অবলম্বন স্বরূপ সমুদায় অfক্লজন নিঃশেষিত হইয়া যায় । সুতরাং অক্লিজন নিঃশেষিত হওয়াতে তাহার নিশ্বাস তাকর্ষণের ও প্রশ্বাস ক্যাগের বিষম কষ্ট উপস্থিত হইয়া কিয়ৎকালের মধ্যেই প্রাণবিয়োগ হয় । সামান্ত গুহে অধিক লোক থাকিলেও তাহাদের প্রশ্বাস নিগত দুপ্ত বায়ু দ্বারা তথাকার বায়ু বিষম দুষিত হইয়া প্রাণসংহারক হইয়। উঠে, এবিষয়ের এক প্রসিদ্ধ প্রমাণ প্রদর্শিত হইতেছে। ১৭৫৬ খ্রীষ্টাব্দে সিরাজউদ্দৌলা ১২ হস্ত দার্য ও প্রায় ১০ হস্ত প্রশস্ত এক গুহে ১৪৬ জন ইংরেজকে এক রজনীতে বন্দী করিয়া রাখিয়াছিলেন । ঐ গুহে কেবল অতি ক্ষুদ্র দুইটি বাতায়ন মাত্র ছিল। তন্মধ্যে যে পরিমাণে অকৃসিজন ছিল, এবং যে পরিমাণে ঐ দুইটি ক্ষুদ্র বাতায়ন দ্বারা বাহিরের বায়ু প্রবিষ্ট হইতেছিল, তাহাতে কষ্ট স্বষ্টে অল্প লোকের প্রাণ ধারণ হইতে পাfরত । কিন্তু তন্মধ্যে ১৪৬ সংখ্যক লোক আবদ্ধ থাকাতে, প্রথমে তাহাদের নিশ্বাস অাকর্ষণের ও প্রশ্বাস ক্ল্যাগের অপরিসীম কষ্ট উপস্থিত হয়, পরে দারুণ গাত্রজ্বালায় ও পিপাসানলে দগ্ধ হইয়া অনতিবিলম্বেই কালগ্রাসে পতিত হয়। তন্মধ্যে কেবল ২৩ জন মাত্র জীবিত ছিল, তাহদের মধ্যেও কএক জন জ্বররোগে আক্রান্ত হইয় প্রাণযোগ করে। অতএব, এক গুহে অধিক লোক থাকা নিতান্ত - অবিধেয় । গুহের আয়তন বিবেচনানুসারে হুfনাধিক লোক বাস করা কৰ্ত্তব্য । এতদ্ব্যতীত অন্ত কোন কোন কারণেও বায়ু ছুপ্ত হইয়া থাকে। ঝটিকা।—বায়ুর প্রবল বেগের নামই ঝটিকা। স্বভাবতঃ ঝটিকা মান কারণে উৎপন্ন হইয়া থাকে । কিন্তু বায়ুর উষ্ণতাই ইহার উৎপত্তির প্রধান কারণ। যথন যে স্থানের বায়ু অপরাপর স্থানের বায়ু অপেক্ষ উষ্ণতর হয়, তখন সেই স্থানের বায়ু লঘু হুইয়া
