ব্রহ্মা। কিছুই করতে চাই না। বিশ্বের বিধান তৈরি ক’রে আমি খালাস।
গড। কেন, তুমি দয়াময় নও?
ব্রহ্মা। আমি নই। হরিকে লোকে দয়াময় বলে বটে।
গড। তুমি সর্বশক্তিমান নও? তোমার সৃষ্টির একটা উদ্দেশ্য নেই?
ব্রহ্মা। যার শক্তি কম তারই উদ্দেশ্য থাকে। যে সর্বশক্তিমান তার উদ্দেশ্য তো সিদ্ধ হয়েই আছে, তার দয়া করবারই বা দরকার হবে কেন? আসল কথা চুপি চুপি বলছি শোন। লোকে আমাদের সৃষ্টিকর্তা বলে, কিন্তু মানষেও আমাদের সৃষ্টি করেছে। যে লোক নিজে নির্দয় সেও একজন দয়ালু ভগবান চায়। যে নিজের তুচ্ছ শক্তি কুকর্মে লাগায় সেও একজন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর চায় যিনি তার সকল কামনা পূর্ণ করবেন। মানুষ নিজের স্বার্থসিদ্ধির আশায় আমাদের দয়ালু আর সর্বশক্তিমান বানাতে চায়।
গড। ওসব নাস্তিকের বুলি ছেড়ে দাও। স্পষ্ট ক’রে বল—মানুষ পাপ করলে তুমি রাগ কর? ভাল কাজ করলে তুমি খুশী হও?
ব্রহ্মা তাঁর চার মাথা সজোরে নাড়তে লাগলেন।
নারদ গুনগুন ক’রে বললেন, নাদত্তে কস্যচিৎ, পাপং ন চৈব সুকৃতং বিভুঃ—প্রভু কারও পাপপণ্য গ্রাহ্য করেন না। —
১০৩