পাতা:গল্পকল্প - পরশুরাম.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গল্পকল্প

অত্যধিক ক্রোধও ভাল নয়, তাতে হাত পা কাঁপে, লক্ষ্যভ্রংশ হয়, যুদ্ধে নিপুণতার হানি হয়। কিন্তু ক্রোধ বর্জন করলে আত্মরক্ষা ও স্বজনরক্ষা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

 কৃষ্ণ। ক্রোধ ত্যাগ ক’রেও তো আত্মরক্ষার জন্য যুদ্ধ করা যায়।

 ভীম। যেমন কাম ত্যাগ ক’রে বংশরক্ষা করা যায়! কৃষ্ণ, বাজে কথা ব’লো না।

 কৃষ্ণ। অনেক যোগী তপস্বী আছেন যাঁদের ক্রোধ মোটেই নেই।

 ভীম। তাঁদের কথা ছেড়ে দাও। তাঁদের স্বজন নেই, আত্মরক্ষারও দরকার হয় না। সকলেই জানে তাঁরা শাপ দিয়ে ভস্ম ক’রে ফেলতে পারেন, সেজন্য কেউ তাঁদের ঘাঁটায় না, তাঁরাও নির্বিবাদে অক্রোধী অহিংস হয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু আমরা তপস্বী নই তাই দুর্যোধন শত্র‍ুতা করতে সাহস করে। অন্যায়ের প্রতিকার এবং দুষ্টের দমনের জন্যই বিধাতা ক্রোধ সৃষ্টি করেছেন। একাদশ র‍ুদ্র আমাদের দেহে অধিষ্ঠিত আছেন, দেহীর অপমান হ’লে তাঁরা রক্তে রৌদ্ররস সঞ্চার করেন, তার ফলে মানুষ উত্তেজিত হয়ে শত্রুকে আক্রমণ করে, কোনও রকম বিচারের দরকার হয় না। বুঝেতে পারলে?

 কৃষ্ণ। আজ্ঞা হাঁ, বুঝেছি।

 ভীম। যদি তৎক্ষণাৎ অপমানের শাস্তি দেওয়া কোনও

১১৪