কম ছিল। তখন এক কবি সুজলাং সুফলাং শস্যশ্যামলাং ব’লে জন্মভূমির বন্দনা করেছিলেন, আর এক কবি গেয়েছিলেন —চিরকল্যাণময়ী তুমি ধন্য, দেশবিদেশে বিতরিছ অন্ন। এখন দেশ বিদেশ থেকে অন্ন আমদানি করতে হচ্ছে।
গোপাল। সরকার ফসল বাড়াবার যে পরিকল্পনা করেছেন তাতে এক বছরের মধ্যেই আমরা নিজেদের খাদ্য উৎপাদন করতে পারব।
সিদ্ধিনাথ। হাঁ, যদি কর্তাদের উপদেশ অনুসারে চাল আটার বদলে টাপিওকা রাঙা আলু আর মহামূল্য ফল খেয়ে পেট ভরাতে পার। যদি ঘাস হজম করতে শেখ, আসল দুধের বদলে সয়া বীন বা চীনে বাদাম গোলা জলে তুষ্ট হও, যদি উপোসী বেরালের মতন মাছের অভাবে আরসোলা টিকটিকি খেতে পার তবে আরও চটপট স্বয়ম্ভর হ’তে পারবে।
গোপাল। শুনছি দক্ষিণ আমেরিকা থেকে দুগ্ধতরু আসছে, যা পয়ম্বিনী গাভীর মতন দুগ্ধ ক্ষরণ করে।
সিদ্ধিনাথ। আরও কত কি শুনবে। রাশিয়া থেকে এক্সপার্ট আসবেন যিনি ব্যাং থেকে রুই কাতলা তৈরি করবেন। শোন গোপাল, কর্তারা যতই বলুন, লোক না কমালে খাদ্যাভাব যাবে না।
রমেশ ডাক্তার লাজুক লোক, পত্নীর ভূতপূর্ব শিক্ষককে একটু ভয়ও করে। আস্তে আস্তে বললে, আমার মতে জন—
১২২