পাতা:গল্পকল্প - পরশুরাম.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সিদ্ধিনাথের প্রলাপ

প্রস্টেট রোগগ্রস্ত অকর্মণ্য লোকদের বাঁচিয়ে রাখলে দেশের কোন্ উপকার হয়? যারা স্বাস্থ্যবান পরিশ্রমী কাজের লোক, যারা বীর বিধান প্রজ্ঞাবান কবি কলাবিৎ, কেবল তাদেরই বাঁচবার অধিকার আছে। তাদের সেবা করতে সমর্থ স্ত্রীলোকেরও বাঁচা দরকার। তা ছাড়া আর সকলেই আগাছার মতন উৎপাটিতব্য।

 গোপাল। ওহে রমেশ, এবারে সিধুবাবুর হাঁপানির টান হ’লে ওষুধ দিও না, বিছানা থেকে উৎপাটিত ক’রে একটা রিকশয় তুলে কেওড়াতলায় ফেলে দিও।

 সিদ্ধিনাথ। আমার কথা আলাদা, বেঁচে থাকলে জগতের লাভ। আমার মতন স্পষ্টবাদী জ্ঞানী উপদেষ্টা এদেশে আর নেই।


গোপালবাবুর গৃহিণী নমিতাদেবী একটা ট্রেতে চায়ের সরঞ্জাম নিয়ে ঘরে ঢুকলেন। বয়স বেশী না হ'লেও এ’র ধাতটি সেকেলে। অসিতা তার দিদিকে আধুনিকী করবার জন্য অনেক চেষ্টা করে হাল ছেড়ে দিয়েছে। নমিতা এই সান্ধ্য আড্ডাটির উপর খুশী নন, বিশেষত সিদ্ধিনাথকে তিনি চক্ষে দেখতে পারেন না; বলেন, পাগল না হাতি, শুধ, ভিটকিলিমি, কুকথার ধুকড়ি। গত কাল সেকরা নমিতার ফরমাশী নথ দিয়ে গিয়েছিল। তা দেখতে পেয়ে সিদ্ধিনাথ কিঞ্চিৎ অপ্রিয় মন্তব্য করেছিলেন। তারই শোধ

১২৫