— তুমি হচ্ছ কর্ণাটী ব্রহ্মক্ষত্রিয়, বল্লালসেনের স্বজাতি। ইতিহাস প’ড়ে দেখো।
— আমি তো জানতুম আমি চন্দ্রগুপ্ত সমুদ্রেগুপ্তের জ্ঞাতি। তোমাদের কথা শুনেছি বটে, আদিশূর কনৌজ থেকে পাঁচ জন বেদজ্ঞ আচারনিষ্ঠ ব্রাহ্মণ আনিয়েছিলেন, তাঁদের তল্পিদার হয়ে পাঁচ কায়স্থ এসেছিল।
— ভুল শুনেছ। আদিশূর রাজ্যশাসনের জন্য পাঁচ জন উচ্চবংশীয় ক্ষত্রকায়স্থ আনিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে পাঁচটি পাচক ব্রাহ্মণ এসেছিল।
হরিহরবাবু তাঁর ঘড়িতে দেখলেন গাড়ি ছাড়তে আর পনর মিনিট মাত্র দেরি আছে। তাঁর ব্যাগ খুলে দুটি খন্দরের পি যার করলেন। একটি নিজে পরলেন, আর একটি তারকবাবুকে দিয়ে বললেন, নাও, মাথায় দাও।
তারকবাবু বললেন, টুপি পরব কেন, শুধু শুধু, মাথা গরম করা। এই তো তুমি বললে যে আমি কর্ণাটী, অর্থাৎ মাদ্রাজ প্রদেশের লোক। আমরা টুপি পরি না, তার সাক্ষী রাজাজী। বরঞ্চ কাছার একটা খুঁট খলে রাখছি।
গাড়িতে হুড়মুড় করে লোক উঠতে লাগল। হরিহরবাবুদের কামরা ভ’রে গেল, বাঙালী বিহারী উত্তরপ্রদেশী মারোয়াড়ী গুজরাটী প্রভৃতি নানা জাতের লোক উঠে বেঞ্চিতে ঠাসাঠাসি করে বসে পড়ল। একটি বাঙালী যুবক একজন
১৩৫