—হাঁ। পলাসীর যুদ্ধ, পৃথ্বীরাজের পরাজয়, হর্ষবর্ধনের দিগ্বিজয়, আলেকজাণ্ডারের আগমন, বুদ্ধদেবের জন্ম, কুরক্ষেত্র-যুদ্ধ, সবই আমি দেখেছি।
— রাম-রাবণের যুদ্ধেও দেখেছেন?
লংকুস্বামী গম্ভীর হয়ে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে বললেন, তাও দেখতে হয়েছে। শুধু দেখা নয়, লড়তেও হয়েছে। ও কথা আর তুলবেন না।
হরিহরবাবু রোমাঞ্চিত হয়ে কাঁপতে কাঁপতে হাত জোড় ক’রে প্রশ্ন করলেন, আপনি কে প্রভু?
গুজরাটী ভদ্রলোকটি উত্তেজিত হয়ে দাঁড়িয়ে উঠলেন। দুই ঊরুতে চাপড় মেরে চেঁচিয়ে বললেন, ও হো হো হো! আমি বুঝে লিয়েছি, আপনি হচ্ছেন বিভীখন মহারাজ, রামচন্দ্রের বরে চিরঞ্জীব হয়েছেন। এখন একটি বাত বলছি শুনেন। আমার নাম শুনে থাকবেন, লগনচাঁদ বজাজ, নয়নসুখ ফিলিম কম্পনির মালিক। নয়া ফিলিম বানাচ্ছি— রাবণ-সন্হার। রোশেনারা পকৌড়িলাল সাগরবালা এঁরা সব নামছেন। আপনারা আমার কম্পনিতে জইন করুন। খুদ আমি রামচন্দ্রের পার্ট লিব। আপনি বড়দাদা রাবণের পার্ট লিবেন, সুরাম্মা বাই সীতার পার্ট লিবেন। হাজার টাকা করে মহীনা দিব। এই আমার কার্ড। বিচার ক’রে দেখবেন, রাজী হন তো এক হপ্তার অন্দর এই ঠিকানায় আমাকে তার ভেজবেন। অচ্ছা?
১৪৪