টাক ইলেকটিরি— এইসব মিশিয়ে চোলাই ক’রে তৈরী হয়। খুব দামী জিনিস, কানাই আমাকে হাফ প্রাইস পঞ্চাশ টাকায় এক বোতল দিয়েছে, মামা ব’লে ভক্তি করে কিনা। দোহাই হুজুর, আজ একটু খেয়ে দেখবেন।
— সে হবে এখন। আচ্ছা রাইচরণ, তুমি বার্লি রাখ?
— রাখি হুজুর। ছানার পুডিংএ দিতে হয়, নইলে আঁট হয় না। এইবার তবে হুজুরের জন্য খাবার আনতে বলি? হকুম করুন কি কি আনব।
— এক কাজ কর—এক কাপ জলে এক চামচ বার্লি সিদ্ধ ক’রে নেবু আর একটু নুন দিয়ে নিয়ে এস।
রাইচরণ আকাশ থেকে প’ড়ে বললে, সেকি মহারাজ! ভেটকি মাছের পোলাও, মটন-কারি, ফাউল-রোস্ট—
রাজাবাহাদুর হঠাৎ অত্যন্ত খাপ্পা হয়ে বললেন, তুমি তো সাংঘাতিক লোক হ্যা! আমাকে মেরে ফেলতে চাও নাকি, অ্যাঁ? আমি বলে গিয়ে তিনটি বচ্ছর ডিসপেপসিয়ায় ভুগছি, কিচ্ছু হজম হয় না, সব বারণ, দিনে শুধু গলা ভাত আর শিঙি মাছের ঝোল, রাত্তিরে বার্লি— আর তুমি আমাকে পোলাও কালিয়ার লোভ দেখাচ্ছ! কি ভয়ানক নে লোক!
রাইচরণ মর্মাহত হয়ে চ’লে গেল এবং একটু পরে এক বাটি বার্লি এনে রাজাবাহাদুরের সামনে ঠক্ করে রেখে বললে, এই নিন।
৪১