পাতা:গল্পকল্প - পরশুরাম.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরশ পাথর

রেশবাবু সোনার দর ক্রমেই কমাচ্ছেন, বাজারে একশ পনর টাকা ভরি থেকে সাত টাকা দশ আনায় নেমেছে। ব্রিটিশ সরকার সস্তায় সোনা কিনে আমেরিকার ডলার-লোন শোধ করেছেন। আমেরিকা খুব রেগে গেছে, কিন্তু আপত্তি করবার যুক্তি স্থির করতে পারছে না। ভারতের স্টারলিং ব্যালান্সও ব্রিটেন কড়ায় গণ্ডায় শোধ করতে চেয়েছিল, কিন্তু এদেশের প্রধান মন্ত্রী উত্তর দিয়েছেন—আমরা তোমাদের সোনা ধার দিই নি, ডলারও দিই নি; যুদ্ধের সময় জিনিস সরবরাহ করেছি, সেই দেনা জিনিস দিয়েই তোমাদের শ‍ুধতে হবে।

 অর্থনীতি আর রাজনীতির ধুরন্ধরগণ ভাবনায় অস্থির হয়ে পড়েছেন, কোনও সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না। যদি এটা সত্য ত্রেতা বা দ্বাপর যুগে হ’ত তবে তাঁরা তপস্যা করে ব্রহ্মা বিষ্ণু, বা মহেশ্বরের সাহায্যে পরেশবাবুকে জব্দ করে দিতেন। কিন্তু এখন তা হবার জো নেই। কোনও কোনও পণ্ডিত বলছেন, প্লাটিনম আর র‍ূপো চালাও। অন্য পণ্ডিত বলছেন, উঁহ‍ু, তাও হয়তো সম্ভায় তৈরি হবে; রেডিয়ম বা ইউরেনিয়ম ট্যানডাড করা হক, কিংবা প্রাচীন কালের মতন বিনিময় প্রথায় লেন-দেন চলুকে।

 চার্চিলকে আর সামলানো যাচ্ছে না, তিনি খেপে গিয়ে বলছেন, আমরা কমনওয়েল‍্থের সর্বনাশ হ’তে দেব না, ইউএন-ওর কাছে নালিশ ক’রে সময় নষ্টও করব না। ভারতে

৫১