পূর্বে কয়েকটি অধিবেশনে চন্দ্রগুপ্ত সিরাজদ্দৌলা নেপোলিয়ন হিটলার প্রভৃতি নামজাদা লোক এবং পরলোকগত অনেক আত্মীয় স্বজন ভূতনাথের মারফত তাঁদের বাণী বলেছেন। সবোধবাবু প্রশ্ন করলেন, আজ কাকে ডাকা হবে?
ভুজঙ্গ ভঞ্জ বললে, আমার দাদামশাইকে একবার ডাকুন। তাঁর ভিকটোরিয়া মার্কা গিনিগুলো কোথায় রেখে গেছেন খুঁজে পাচ্ছি না।
অবধবিহারী লাল বললে, দাদা চাচা মামু মৌসা উ সব ছোড়িয়ে দেন, মহাৎমাজীকো বোলান। দেখছেন তো, দেশ জহান্নামে যাচ্ছে, তিনি একটা সলাহ্ দেন জৈসে তুরন্ত্ রামরাজ্য হইয়ে যায়।
কানাই গাঙ্গুলী বললে, তাঁকে আর কষ্ট দেওয়া কেন, ঢের ক’রে গেছেন, এখন বিশ্রাম করুন।
ভুজঙ্গ ভঞ্জ বললে, মহাত্মাজীকে ডেকে লাভ নেই, তিনি কি বলবেন তা তো জানাই আছে। —চরকা চালাও, মাইনে কম নাও, হাইস্কি ছাড়, বান্ধবীদের তাড়াও, ৱহ্মচর্য পালন কর। এসব শুনতে গেলে কি রাজ্য চালানো যায়। কি বলেন কানাই-দা?
বিপাশা দেবী বললেন, আচ্ছা, মহাত্মাজীর যিনি ইষ্টদেব সেই রামচন্দ্রকে ডাকলে হয় না?
৬২